ফাইল চিত্র।
বিশ্ব জুড়ে পড়েছে প্রায় সমস্ত শেয়ার বাজার। যার জেরে শুক্রবার প্রায় ২০০০ পয়েন্ট ধসের মুখে পড়ল ভারতের সূচক সেনসেক্সও। উধাও হল লগ্নিকারীদের ৫.৩ লক্ষ কোটি টাকার শেয়ার সম্পদ। বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, বিশ্ব জুড়ে কমছে বন্ডের দাম। তাতে লগ্নি বাড়ছে। বিশেষত আমেরিকায়। করোনাকালে বহু দেশ ঢেলে ত্রাণ দেওয়ায় বাজারে নগদ বেড়েছে। ফলে চড়ছে মূল্যবৃদ্ধি। জোরালো হচ্ছে সুদের হার বাড়ার সম্ভাবনা। তাই বিভিন্ন দেশে শেয়ারের ধাক্কা খাওয়ার কারণ হিসেবে ঋণপত্র এবং স্থায়ী আমানতের মতো লগ্নির আকর্ষণ বৃদ্ধিকে দায়ী করছেন তাঁরা।
তবে একাংশের দাবি, এ দিনের পতন মূলত বিশ্ব বাজারের প্রতিফলন ঠিকই। তবে দেশের অর্থনীতি নিয়ে উদ্বেগও তাতে ইন্ধন জুগিয়েছে। রিলায়্যান্স সিকিউরিটিজ়ের কর্তা বিনোদ মোদীর আশঙ্কা, ‘‘তেলের চড়া দর দেশে আগামী দিনে মূল্যবৃদ্ধির হারকে ঠেলে তুলতে পারে। আর সেটা হলে সংস্থার মূলধন জোগাড়ের খরচ বাড়বে। ভুগবে অর্থনীতি।’’
যদিও বাজার বিশেষজ্ঞ অজিত দে বলছেন, ‘‘এই পতন বিদেশি বাজারেরই ধাক্কা। এর নিরিখে ভারতের অবস্থা বিচার অনুচিত।’’ সূত্রের অভিযোগ, ধসের কারণ ‘বেয়ার’-রাও। শেয়ার বেচে পড়তি বাজারে ফের তা কেনাই যাদের কাজ।