—ফাইল চিত্র।
এক দিনের মাথাতেই ফের নতুন নজির গড়ল শেয়ার বাজার। যার হাত ধরে বুধবার সেনসেক্স পেরিয়ে গেল ৫৪,০০০-এর মাইলফলক। মঙ্গলবার প্রায় ৮৭৩ পয়েন্ট উত্থানের পরে এ দিন সূচকটি বাড়ল ৫৪৬.৪১ পয়েন্ট। দিনের শেষে থামল ৫৪,৩৬৯.৭৭ অঙ্কে। একই ভাবে রেকর্ড গড়ে নিফ্টিও পৌঁছে গিয়েছে ১৬,২৪৬.৮৫ অঙ্কে। বেড়েছে ১২৮.০৫ পয়েন্ট।
চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে স্টেট ব্যাঙ্কের নিফ মুনাফা ৫৫% বৃদ্ধির খবরে এ দিন তাদের শেয়ারের চাহিদা দেখা গিয়েছে লগ্নিকারীদের মধ্যে। তা ছাড়া সামগ্রিক ভাবেই ব্যাঙ্কিং শিল্পে অনুৎপাদক সম্পদের বোঝা লাঘব হওয়া এবং তাদের মুনাফা বাড়ার খবরে উৎসাহিত হয়েছেন তাঁরা। সেই সঙ্গে জুলাইয়ে মোটা অঙ্ক লগ্নি তুলে নেওয়ার পরে অগস্টের শুরু থেকে ফের ক্রেতার ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলিকে। মঙ্গল ও বুধবারেই তারা শেয়ার কিনেছে মোট ৪৯৪৫.১৭ কোটি টাকার।
রিলায়্যান্স সিকিউরিটিজ়ের স্ট্র্যাটেজি বিভাগের কর্তা বিনোদ মোদী বলেন, ‘‘প্রথম ত্রৈমাসিকে ব্যাঙ্ক-সহ আর্থিক সংস্থাগুলির ফলাফল ভাল হওয়ার প্রভাব পড়েছে তাদের শেয়ার দরে।’’ কিন্তু বাজারের উত্থানে সব মাপের সংস্থা অংশ নিচ্ছে না জানিয়ে তাঁর বক্তব্য, ‘‘সূচক উঠছে মূলত বড় সংস্থাগুলির হাত ধরেই। ছোট ও মাঝারি সংস্থাগুলির শেয়ার দর তেমন বাড়েনি।’’ বাজারের এই গতিই আপাতত বজায় থাকবে বলে মনে করেন দেকো সিকিউরিটিজ়ের কর্ণধার অজিত দে। তিনি বলেন, ‘‘অর্থনীতিকে সামাল দিতে কেন্দ্রের বেশ কিছু পদক্ষেপের সুফল ফলতে শুরু করেছে। বেড়েছে আগাম কর আদায়। বাজারে এখন নগদের জোগানের অভাব নেই। বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি পুঁজির অঙ্ক বাড়িয়েছে। পাশাপাশি, বহু নতুন লগ্নিকারী প্রথমবার শেয়ারে পা রাখছেন। ফলে সূচকের ওঠা-নামা চললেও নিট হিসেবে তার মুখ উপরের দিকেই থাকবে বলে মনে হয়।’’