প্রতীকী চিত্র
উৎসবের মুখে তেলের দাম বেলাগাম। কলকাতা-সহ দেশের বেশির ভাগ বড় শহরে পেট্রল ১০০ টাকা পেরিয়ে ছুটছে। মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলঙ্গনার বহু শহরে ‘সেঞ্চুরি’ করেছে ডিজ়েলও। এমন অবস্থায় উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে বিশ্ব বাজারে ব্রেন্ট ক্রুড পৌঁছে গেল ব্যারেল পিছু ৮৩ ডলারের কাছে (৮২.৯২)। যা গত সাত বছরের মধ্যে সব থেকে চড়া। ডব্লিউটিআই ক্রুডের ব্যারেলও ছাড়িয়েছে ৭৯ ডলার। শিল্প মহল সূত্রের দাবি, এর জেরে খরচ এবং বিক্রির দামের মধ্যে ফারাক কমাতে দেশের জ্বালানির দাম ‘যথেষ্ট’ পরিমাণে বাড়বে। বস্তুত মঙ্গলবারই কলকাতায় গৃহস্থের রান্নার গ্যাসের দাম ১৫ টাকা বেড়ে ৯২৬ টাকা হয়েছে। ফলে এই উৎসবের মরসুমে সাধারণ রোজগেরে মানুষদের দুর্ভোগও যে আরও অনেকটা বাড়বে সন্দেহ নেই।
বিরোধীরা ফের দাবি তুলেছে, ক্রেতাদের স্বার্থে অবিলম্বে পেট্রল-ডিজ়েলে চড়া উৎপাদন শুল্ক কমাক মোদী সরকার। এ দিন দামের চাপে মানুষের দুরবস্থার কথা মেনেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনও। তবে তাঁর দাবি, দেশে পেট্রোপণ্যের দাম আন্তর্জাতিক তেলের দামের উপর নির্ভরশীল। ৯৯ শতাংশই আমদানি হয়। কেন্দ্র ও রাজ্য একসঙ্গে জ্বালানির বাড়তে থাকা খরচ সামলাবে। কারণ তারাই তেলে কর বসায়।
ক্ষুব্ধ আমজনতার প্রশ্ন, গত বছর যখন তেলের দাম তলিয়ে গিয়েছিল, তখন দেশে জ্বালানির দাম কমেনি কেন? উল্টে মোদী সরকার উৎপাদন শুল্ক বাড়িয়ে সিন্দুক ভরেছে। তা হলে এখন সেই শুল্ক কমানোর প্রশ্নে এত দেরি কেন!