ঘুরে দাঁড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আগেই। এ বার সেই ভিতের উপর দাঁড়িয়ে ব্যবসা আরও বাড়াতে উদ্যোগী হচ্ছে কলকাতা ভিত্তিক রাষ্ট্রায়ত্ত ইঞ্জিনিয়ারিং সংস্থা ব্রেথওয়েট। ট্রেনের ওয়াগন উৎপাদন বাড়িয়ে চলতি অর্থবর্ষে তিন গুণ বেশি মুনাফার আশা করছে সংস্থাটি।
উল্লেখ্য, ১৯৮৬ সালে ভারী শিল্প মন্ত্রকের অধীনে আসে ব্রেথওয়েট। ২০১০ সালে সংস্থাটি যায় রেল মন্ত্রকের হাতে। গত মে মাসে সংস্থার সিএমডি হয়েছেন ভারতীয় রেলের ক্যাডার যতীশ কুমার।
সম্প্রতি বণিকসভা সিআইআইয়ের এক সভার পরে ব্রেথওয়েটের ভবিষ্যৎ রূপরেখা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে কুমার জানান, গত কয়েকটি অর্থবর্ষে সংস্থা বছরে ১২০-১৩০ কোটি টাকার ব্যবসা করছিল। এ বার তা ২৫০-৩০০ কোটি টাকায় নিয়ে যাওয়াই তাঁদের লক্ষ্য। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে ৩ কোটি টাকা মুনাফা করেছিল রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটি। এ বার সেই অঙ্ককে ১০ কোটি টাকায় নিয়ে যেতে চায় ব্রেথওয়েট।
এই লক্ষ্যপূরণে দু’টি কৌশল নিয়েছে সংস্থাটি। প্রথমত, ভারতীয় রেলের ওয়াগন রক্ষণাবেক্ষণ ও নতুন ওয়াগনের বকেয়া বরাতের কাজ দ্রুত শেষ করা। দ্বিতীয়ত, তার পরে পুরোদমে নতুন ওয়াগন তৈরিতে নজর দেওয়া। সিএমডি জানান, এখন তাঁদের হাতে প্রায় ৬০০ কোটি টাকার বরাত রয়েছে। সব মিলিয়ে বরাতের সংখ্যা ২৬টি।
গার্ডেনরিচ ও হুগলির ভদ্রেশ্বরে সংস্থার দু’টি কারখানায় কিছু দিন আগে পর্যন্ত মাসে ৪০টি ওয়াগন তৈরি হত। এখন তা দ্বিগুণ হয়েছে। চলতি অর্থবর্ষেই মাসে ২০০টি ওয়াগন তৈরির লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছতে চায় ব্রেথওয়েট। তাদের বক্তব্য, সব মিলিয়ে আগামী দিনে ব্যবসার ৮০ শতাংশই আসবে ওয়াগন তৈরির ব্যবসা থেকে।