ভারতী এয়ারটেল ২০১৯-এর শেষ থেকে কয়েক দফা মোবাইল পরিষেবার মাসুল বাড়িয়েছে। ফাইল ছবি।
অন্যান্য সংস্থার মতো ভারতী এয়ারটেল ২০১৯-এর শেষ থেকে কয়েক দফা মোবাইল পরিষেবার মাসুল বাড়িয়েছে। তার পরেও গত বছর থেকে বেশ কয়েকবার তা আরও বৃদ্ধির পক্ষে সওয়াল করেছেন সংস্থার কর্ণধার সুনীল মিত্তল। একই বক্তব্য ছিল ভোডাফোন আইডিয়ার (ভি) কর্তৃপক্ষেরও। মঙ্গলবার বার্সেলোনায় ‘মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস’-এর মঞ্চে সুনীল স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, সব ধরনের প্রকল্পে (প্ল্যান) মাসুল বাড়াতে চলেছেন তাঁরা এবং সেটা হবে এই বছরই। এর কারণ হিসেবে তাঁর মন্তব্য, দেশে কারও ভোডাফোন আইডিয়ার মতো দশা হোক, তা তিনি চান না।
অতিমারির পরে বহু মধ্য এবং নিম্নবিত্তের আয়ে কোপ পড়েছে। অথচ বেড়ে গিয়েছে মোবাইল ফোনের ব্যবহার। তার উপরে বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় প্রায় প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়েছে। সংশ্লিষ্ট মহল বলছে, তাঁদের একাংশ ফোনের মাসুল আরও বাড়ার ফলে অসুবিধায় পড়বেন। তবে সুনীলের বক্তব্য, সাধারণ মানুষ অন্যান্য খাতে যা খরচ করেন তার তুলনায় এই বৃদ্ধি কম। তাঁর কথায়, ‘‘বেতন বেড়েছে। কেউ প্রশ্ন তুলছেন না। গ্রাহকেরা প্রায় নিখরচায় ৩০ জিবি ডেটা ব্যবহার করছেন। দেশে ভি-র মতো দশা কারও হোক, তা চাই না। শক্তিশালী টেলিকম সংস্থাথাকা দরকার।’’
বছর ছয়েক আগে শুরুতে নিখরচায় এবং পরে সস্তার মাসুল এনে ভারতে টেলিকম পরিষেবার বাজারকে আমূল বদলে দিয়েছিল রিলায়্যান্স জিয়ো। গ্রাহকের পকেটে চাপ কমেছিল। তবে প্রতিদ্বন্দ্বী সংস্থাগুলির দাবি, সেই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে মাসুল কমানোর ফলে তাদের আর্থিক বোঝা বাড়ে। এই যুক্তিতে দেশে কোভিড হানার ঠিক আগেই মাসুল বাড়ায় এয়ারটেল, ভি। সেই পথে হাঁটে জিয়ো-ও। এর পরে গত বছর ফের আটটি সার্কলে ২৯ দিনের প্রকল্পে মাসুল হার ৫৭% বাড়ায় এয়ারটেল। তখনই ইঙ্গিত ছিল, গ্রাহকের প্রতিক্রিয়া দেখে সর্বত্র সেই পদক্ষেপ করা হতে পারে।
প্রশ্ন ছিল, সংস্থার হিসাবের খাতা শক্তিশালী হওয়া সত্ত্বেও মাসুল বৃদ্ধি কেন? সুনীল জানান, তাঁরা অনেক পুঁজি ঢালায় হিসাবের খাতা পোক্ত হয়েছে ঠিকই। কিন্তু লগ্নির অনুপাতে আয় কম। তাঁর কথায়, ‘‘এটা বদলানো জরুরি। আমরা সামান্য বৃদ্ধির কথা বলছি।’’ এয়ারটেলের ৫জি পরিষেবা ধাপে ধাপে চালু হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জায়গায়। তবে এখনই ২জি পরিষেবা বন্ধের পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছে সংস্থা। কারণ, তাদের প্রায় ১০ লক্ষ গ্রাহক তা ব্যবহার করেন।