প্রতীকী ছবি।
দুই রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থা বিএসএনএল এবং এমটিএনএলের সংযুক্তি পরিকল্পনা করেই রেখেছে কেন্দ্র। সূত্রের খবর, বিএসএনএলের সঙ্গে ভারত ব্রডব্যান্ড নিগমকেও (বিবিএনএল) মিশিয়ে দেওয়া হতে পারে এ মাসেই। আবার এই পরিকল্পনা ঘিরে বিবিএনএলের কর্মী-অফিসারদের একাংশের মধ্যে আপত্তি রয়েছে বলেও খবর।
সম্প্রতি অল ইন্ডিয়া গ্র্যাজুয়েট এঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড টেলিকম অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের এক অনুষ্ঠানে বিএসএনএলের সিএমডি পি কে পুরওয়ার জানান, সংস্থাটিকে কী ভাবে ঘুরিয়ে দাঁড় করানো যায় তার পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্র। সেই সঙ্গে বিবিএনএলকে বিএসএনএলের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার ব্যাপারেও নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে তারা। এর অর্থ, সারা ভারতে বিবিএনএল যে কাজে বরাত পাবে তার পুরোটাই আসবে বিএসএনএলের হাতে। উল্লেখ্য, সারা দেশে বিএসএনএলের ৬.৮ লক্ষ কিলোমিটার দীর্ঘ অপটিক্যাল ফাইবার কেবল রয়েছে। সংযুক্তি সম্পূর্ণ হলে ১.৮৫ লক্ষ গ্রাম পঞ্চায়েতে ছড়িয়ে থাকা আরও ৫.৬৭ লক্ষ কিলোমিটার কেবল তাদের আওতায় আসবে।
টেলিকম সংস্থাগুলির লাইসেন্স ফি-র একাংশ জমা পড়ে ইউনিভার্সাল সার্ভিস অবলিগেশন ফান্ডে। তার সাহায্যেই গ্রামে অপটিক্যাল ফাইবার বসায় বিবিএনএল। যা ব্যবহার করতে পারে সমস্ত সংস্থা। সূত্রের খবর, এই অবস্থায় বিবিএনএলের নিয়ন্ত্রণ নির্দিষ্ট একটি টেলিকম সংস্থার হাতে থাকা নিয়ে আপত্তি উঠেছে সংস্থার কর্মী-অফিসারদের মধ্যে।