আহ্বান: বিশ্ব বঙ্গ শিল্প সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মঞ্চ। যেখানে বিনিয়োগের গন্তব্য হিসেবে মঙ্গলবার রাজ্যকে তুলে ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী। শ্রোতা একঝাঁক শিল্পপতি, অর্থমন্ত্রীও। নিজস্ব চিত্র
বিশ্ব বঙ্গ শিল্প সম্মেলনের প্রথম দিনে রাজ্য লগ্নি প্রতিশ্রুতি পেল ১৭ হাজার কোটি টাকার। যার মধ্যে জেএসডব্লিউ গোষ্ঠী সিমেন্ট, বিদ্যুৎ, ইস্পাত-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে লগ্নি করবে ১০ হাজার কোটি টাকা। রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজের কর্ণধার মুকেশ অম্বানী বললেন তাঁর সংস্থার টেলিকম পরিষেবা জিও-কে রাজ্যে সকলের দরজায় পৌঁছে দেওয়ার কথা। সঙ্গে তাঁর তরফে প্রতিশ্রুতি রইল, পেট্রোপণ্য ও খুচরো ব্যবসায় আগামী তিন বছরে ৫,০০০ কোটি ঢালার।
হয়তো বিনিয়োগের অঙ্ক হিসেবে এই সংখ্যা বিরাট নয়। কিন্তু অম্বানী থেকে আর্সেলর-মিত্তলেরর কর্ণধার লক্ষ্মী মিত্তল— যে ভাবে সকলে এ দিন ‘পরিবর্তনের বাংলা’কে প্রশংসায় মুড়ে দিয়েছেন, তাতে অন্তত রাজ্যের ভাবমূর্তি অনেকখানি শুধরেছে বলে মনে করছেন স্থানীয় শিল্পমহলের একাংশ। বিরোধীদের অবশ্য কটাক্ষ, এই ঢক্কানিনাদই সার। লগ্নি সে ভাবে আসার লক্ষণ কোথায়?
মঙ্গলবার রাজারহাটে কনভেনশন সেন্টারে বিশ্ব বঙ্গ শিল্প সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে লগ্নির কথা ঘোষণা করেছেন সঞ্জীব গোয়েন্কা, কিশোর বিয়ানি, সরোজ পোদ্দার, নিরঞ্জন হীরানন্দনীর মতো শিল্পপতিরাও। মুকেশ যেমন বলেছেন, এর আগে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা লগ্নির পরিকল্পনা করেও ইতিমধ্যেই রাজ্যে ১৫ হাজার কোটি ঢেলেছেন তাঁরা। অম্বানীর দাবি, মুখ্যমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গে যে ধরনের লগ্নিবান্ধব পরিবেশ তৈরির পাশাপাশি উন্নত পরিকাঠামো গড়েছেন, মূলত সে জন্যই এ রাজ্যকে লগ্নির মানচিত্র হিসেবে বেছে নিয়েছেন তাঁরা। এ রাজ্যে বিনিয়োগের পক্ষে সওয়াল করেছেন গোয়েন্কা, জিন্দলরাও।
শিল্পমহলের একাংশের বক্তব্য, তাক লাগানো লগ্নি প্রস্তাব এখনও আসেনি ঠিকই। কিন্তু অম্বানী, মিত্তলের মতো শিল্পপতির মুখে যে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা শোনা গিয়েছে, তা রাজ্যের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করবে। এখানে পুঁজি ঢালতে আগ্রহী হবেন দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। মোট লগ্নির অঙ্ক স্পষ্ট হবে আজই।