প্রতীকী ছবি।
চটকল শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি-সহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিয়ে সরকার, কর্মী ও মালিক পক্ষের ত্রিপাক্ষিক চুক্তি হয়েছিল গত মার্চে। কিন্তু সেই চুক্তির বিরোধিতা করে পরের দিনই রাজ্য জুড়ে চটকলগুলিতে ধর্মঘট ডেকেছিল সিটু সমর্থিত বেঙ্গল চটকল মজদুর ইউনিয়ন (বিসিএমইউ)। সূত্রের খবর, এ বার সেই চুক্তি দ্রুত সংশোধনের দাবি জানিয়ে রাজ্যের শ্রম দফতর ও চটকল মালিকদের সংগঠন আইজেএমএ-কে চিঠি দিল সিটু। যেখানে ২২ দফা দাবি-সনদ পেশ করা হয়েছে। চুক্তি সংশোধনের পদক্ষেপ না-করলে রাজ্যের চটকলগুলিতে লাগাতার ধমর্ঘট ডাকার হুমকি দিয়েছে বিসিএমইউ।
রাজ্যের চট শিল্পে বিসিএমইউ-সহ কর্মীদের সাতটি বাম ইউনিয়ন রয়েছে। তাদের বক্তব্য, কর্মীদের দৈনিক ন্যূনতম মজুরি বাড়িয়ে ৬৯২ টাকা করা থেকে শুরু করে ২০% বোনাস-সহ স্বাস্থ্যকর বাসস্থান ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে একগুচ্ছ দাবি জানানো হয়েছিল। কিন্তু তাকে আমল না-দিয়েই মার্চে চুক্তি হয়।
সংগঠনগুলির অভিযোগ, ওই চুক্তিতে চটকল কর্মীরা সব দিক থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। নতুন শ্রমিকদের দেওয়া হচ্ছে দৈনিক ৩৭০ টাকা। বিসিএমইউ-র সাধারণ সম্পাদক অনাদি সাহুর দাবি, পুরনো কর্মীদের দৈনিক মজুরি এখনকার তুলনায় ২ টাকা বেড়েছে। মানা হয়নি ২০% বোনাসের দাবিও। তাঁর ক্ষোভ, ওই চুক্তিতে চটকল কর্মীদের প্রতি চরম অন্যায় করা হয়েছে। যে কারণে সেটি সংশোধনের সিদ্ধান্ত না নেওয়া হলে চটশিল্পে ধর্মঘট হবেই বলে জানিয়েছেন তিনি।
অনাদিবাবুর বলেন, মার্চ মাসে হওয়া মজুরি সংক্রান্ত ওই চুক্তি কর্মীদের অধিকাংশই মানেননি। তাই সেটির বিরোধিতায় আগেই ধমর্ঘট ডাকা হয়েছিল। এ বার ওই চুক্তি সংশোধন না-হলে লাগাতার ধর্মঘটে নামা হবে।
চটকল মালিকদের একাংশের অবশ্য দাবি, ত্রিপাক্ষিক চুক্তি শ্রম দফতরের মধ্যস্থতায় হয়েছিল। অধিকাংশ শ্রমিক সংগঠন তাতে সই করেছিল। এখন সরকারকেই যা পদক্ষেপ করার করতে হবে।
আর রাজ্য প্রশাসন আগেই জানিয়ে রেখেছে, চটকল কর্মীদের স্বার্থ রক্ষা করে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি করা হয়েছে। এ বার ধর্মঘট ডাকলে তাঁদেরই ক্ষতি।