প্রতীকী ছবি।
কর্মীরা করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় কলকাতা-সহ রাজ্যের বেশ কিছু ব্যাঙ্কের শাখা বন্ধ করতে হয়েছে। আশঙ্কা, সেই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। বুধবার ব্যাঙ্ক কর্মী ও অফিসারদের সংগঠনের যৌথ মঞ্চ ইউএফবিইউ-র অভিযোগ, পরিস্থিতি এই দিকে গড়াতে পারে আঁচ করেই ব্যাঙ্কের মতো জরুরি পরিষেবার সময় কমাতে বলা হয়েছিল। কিন্তু সরকার কানে তোলেনি। রাজ্য ৫০% হাজিরার নির্দেশ দিলেও বহু ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ এখনও অনুমতি দেননি। ব্যাঙ্ক বন্ধ রাখতে হলে আমজনতাই ভুগবেন। রাজ্যের প্রায় ৬০% ব্যাঙ্ক কর্মী সংক্রমিত বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।
বুধবার ব্যাঙ্ক ছুটি ছিল। উত্তর-২৪ পরগনার লিড ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার সালান বাগে জানান, “আমার জেলায় মঙ্গলবার ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কের ৪টি, স্টেট ব্যাঙ্কের ২টি এবং বঙ্গীয় গ্রামীণ বিকাশ ব্যাঙ্কের ৪টি শাখা কর্মীর অভাবে বন্ধ রাখতে হয়েছে।’’ সূত্রের খবর, পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক ও ব্যাঙ্ক অব বরোদার ১টি করে শাখার ঝাঁপও খোলেনি।
ব্যাঙ্ক অফিসারদের সংগঠন আইবকের রাজ্য সম্পাদক সঞ্জয় দাস বলেন, “বহু কর্মী সর্দি-কাশি, জ্বর নিয়ে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন, যাতে পরিষেবা ভেঙে না-পড়ে।’’ ইউএফবিইউ-র আহ্বায়ক গৌতম নিয়োগীর আশঙ্কা, পরিস্থিতি ঘোরালো হতে পারে। সংক্রমিত কর্মীরা কাজ করলে গ্রাহকদেরও ঝুঁকি। যে কারণে কর্মী নিজে বা বাড়ির কেউ সংক্রমিত হলে নির্দিষ্ট দিন পর্যন্ত বিচ্ছিন্নবাসে থাকতে হয়। সঞ্জয়বাবুর আক্ষেপ, ‘‘এখন ওই বিধি মানলে পরিষেবা দেওয়া মুশকিল হবে। এই জন্য তৃতীয় ঢেউয়ের শুরুতেই ব্যাঙ্ক খোলা রাখার ক্ষেত্রে কিছু বিধি-নিষেধের পরামর্শ দিয়েছিলাম। কিন্তু দুঃখের বিষয় এখনও ব্যবস্থা নিল না সরকার।’’