—প্রতীকী চিত্র।
দেউলিয়া বিধিতে বকেয়া ঋণের মীমাংসার ক্ষেত্রে আগের তুলনায় আর্থিক ভাবে বেশি ত্যাগস্বীকার করতে হচ্ছে ঋণদানকারী সংস্থাগুলিকে। জাতীয় কোম্পানি আইন ট্রাইবুনালে (এনসিএলটি) মামলার সমাধানে সময়েও লাগছে বেশি। মূল্যায়ন সংস্থা ইক্রার রিপোর্টে এমনই দাবি করা হয়েছে।
দেউলিয়া বিধির অধীনে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের মামলাগুলি নিয়ে রিপোর্টটি তৈরি করেছে ইক্রা। সেখানে জানানো হয়েছে, গত অর্থবর্ষে পাওনার ৭৩% ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে ঋণদাতারা। এর পোশাকি নাম ‘হেয়ারকাট’। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে তা ৬৪% ছিল। ইক্রার মূল্যায়ন সংক্রান্ত বিভাগের শীর্ষ কর্তা অভিষেক ডাফরিয়া বলেন, ‘‘হেয়ারকাট ক্রমাগত বাড়ছে। ঋণদাতারা তা মেনে নিতে বাধ্য হচ্ছে।’’ পাশাপাশি রিপোর্টে দাবি, দেউলিয়া সংস্থার হাতবদল হয়ে ঋণের মীমাংসা হতে গড়ে সময়ও লেগেছে ৮৪৩ দিন। যদিও বিধি অনুযায়ী ৩৩০ দিনের মধ্যে তা মেটার কথা।
মূল্যায়ন সংস্থাটির পরিসংখ্যান, গত অর্থবর্ষে সংস্থা টিঁকিয়ে রেখে ২৬৯টি মামলার মীমাংসা হয়েছে। তার আগের বছর হয়েছিল ১৮৯টি। ইক্রার ধারণা, চলতি অর্থবর্ষেও যে সমস্ত মামলার মীমাংসা হবে সেগুলিতেও ৩০-৩৫ শতাংশের বেশি বকেয়া ফেরত পাবে না ঋণদাতারা। গত মার্চ পর্যন্ত ৯৬০টি সংস্থা গুটিয়ে নেওয়ার কাজ শেষ হয়েছে।