আজ মঙ্গলবার দেশ জুড়ে ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ইউনাইটেড ফোরাম অব ব্যাঙ্ক ইউনিয়ন্সের (ইউএফবিইউ) ছাতার তলায় থাকা ব্যাঙ্কের সাধারণ কর্মী ও অফিসারদের ৯টি ইউনিয়ন। রাষ্ট্রায়ত্ত, গ্রামীণ ব্যাঙ্কের পাশাপাশি এতে সামিল বেসরকারি এবং বিদেশি ব্যাঙ্কগুলি। সংগঠনগুলির দাবি, ধর্মঘটের জেরে এ দিন ব্যাহত হতে পারে সারা দেশের এটিএম পরিষেবাও।
বিভিন্ন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানিয়েছেন, তাঁরা এটিএমে টাকা ভরার ব্যবস্থা করবেন। কিন্তু সেগুলির দরজা আদপে খুলবে কি না, সংশয় রয়েছে তা নিয়ে। কারণ, অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রাজেন নাগর জানান, ‘‘এটিএমের নিরপত্তা রক্ষীদের ইউনিয়নও ধর্মঘটের শরিক। তাই তাঁরা কাজে আসবেন না। ফলে খোলা যাবে না সেগুলি।’’ একই আশঙ্কা প্রকাশ করেন আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক, স্টেট ব্যাঙ্কের কর্তারা। বিষয়টি নিয়ে সংশয়ী ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সংগঠন ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কস অ্যাসোসিয়েশনও। তারা সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে সোমবারই টাকা তুলে রাখার পরামর্শ দেয়। তবে হাসপাতাল-সহ কিছু অত্যাবশ্যকীয় ক্ষেত্রে টাকার জোগাড়ে যাতে সমস্যা না হয়, সে জন্য কিছু এটিএম খোলা থাকতে পারে। রাজেনবাবু বলেন, ‘‘বিশেষত হাসপাতাল লাগোয়াগুলি খোলা রাখতে বলেছি রক্ষীদের।’’
ইউএফবিইউ-র আহ্বায়ক ও স্টেট ব্যাঙ্ক স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সিদ্ধার্থ খানের দাবি, ব্যাঙ্ক সংযুক্তি, বাইরের লোক দিয়ে কাজ করানো, গ্রাহকদের থেকে নেওয়া ব্যাঙ্ক চার্জ বৃদ্ধি, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণের উদ্যোগ ইত্যাদির প্রতিবাদেই ধর্মঘট। ঋণ খেলাপিদের নাম প্রকাশের দাবিও তুলেছে ইউনিয়নগুলি। তাদের হুঁশিয়ারি, দাবি না-মিটলে অক্টোবর বা নভেম্বরে দু’দিনের ধর্মঘটের পরিকল্পনা রয়েছে।