—প্রতীকী চিত্র।
পেঁয়াজ রফতানিতে কেন্দ্রের জারি করা নিষেধাজ্ঞা তাঁদের আয়ে ধাক্কা দিচ্ছে, এই অভিযোগে তা তুলে নেওয়ার দাবি জানাচ্ছিলেন মূলত মহারাষ্ট্রের কৃষকেরা। যে রাজ্যে তার ফলন হয় সব থেকে বেশি। কংগ্রেসও সম্প্রতি চাষিদের স্বার্থ বিরোধী দাবি করে, এমন পদক্ষেপের জন্য মোদী সরকারকে দুষেছে। এই পরিস্থিতিতে শনিবার পেঁয়াজ রফতানিতে শর্তসাপেক্ষে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল কেন্দ্র। জানাল, ফলন, সরবরাহ এবং দামে স্থিতিশীলতা ফিরেছে দেখেই এই সিদ্ধান্ত। তবে তাতে রাশ টেনে রাখতে ন্যূনতম রফতানি মূল্য টনে ৫৫০ ডলারে বাঁধার পাশাপাশি ৪০% শুল্কও বসানো হয়েছে। কাজেই উৎপাদনের একাংশ বিদেশে গেলেও দেশে দাম তেমন বাড়বে না। যদি বাড়েও, তা হবে সামান্য। উল্লেখ্য, দেশে জোগান ঠিক রেখে দামকে নিয়ন্ত্রণে রাখতেই পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা বসিয়েছিল মোদী সরকার।
সংশ্লিষ্ট মহলের অবশ্য দাবি, মহারাষ্ট্রে পেঁয়াজ উৎপাদনের মূল তিনটি অঞ্চল— নাসিক, আহমেদনগর এবং শোলাপুরে ভোটের আগেই এই সিদ্ধান্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তবে নিষেধাজ্ঞা তোলার পরেই দেশে পেঁয়াজের প্রধান পাইকারি বাজারে (মহারাষ্ট্রের লাসালগাঁও) দাম বেড়ে যাওয়ায় খুচরো বাজারের দাম নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন কেউ কেউ। ৪০% রফতানি শুল্ক বসানো নিয়েও ক্ষুব্ধ একাংশ। কেন্দ্রের দাবি, ফলনের হিসাব নিয়েই সিদ্ধান্ত হয়েছে। নজরদারিও চলবে।
ব্যবসায়ীদের সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল ফোরাম অব ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রবীন্দ্রনাথ কোলে বলেন, ‘‘এ বার পেঁয়াজের ফলন সত্যিই ভাল হয়েছে। তাই রফতানি চালু হলেও স্থানীয় বাজারে তার জোগানের উপরে বিরূপ প্রভাব পড়বে না বলেই মনে হয়।’’ তবে একই সঙ্গে কোলের দাবি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য পূরণের লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ করেছে মোদী সরকার। নির্বাচনের আগে এক শ্রেণির চাষিদের খুশি করার জন্য।