প্রতীকী চিত্র।
ছোট শহরগুলির মধ্যে যোগাযোগ বাড়াতে আঞ্চলিক বিমান পরিষেবা (আরসিএস বা উড়ান) হাতে নিয়েছে কেন্দ্র। এ বার তার আওতায় আসতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গের বালুরঘাট ও মালদহ বিমানবন্দর। এর আগে কোচবিহার, বার্নপুর এবং অণ্ডাল বিমানবন্দর প্রকল্পের আওতায় এসেছে। এ বার এই পাঁচটি বিমানবন্দর থেকেই পরিষেবা দিতে ইচ্ছুক সংস্থাকে আহ্বান জানানো হয়েছে। এর মধ্যে অণ্ডাল থেকে পরিষেবা শুরু হয়েছে আগেই। রাজ্য পরিবহণ দফতর সূত্রের খবর, বালুরঘাট বিমানবন্দরের পরিকাঠামোর কাজ শেষের পথে। মালদহের অনেক আগেই সেই বিমানবন্দরটি চালু হবে।
কলকাতা ছাড়া রাজ্যের বাকি সব বিমানবন্দর রয়েছে রিজিয়োনাল এগ্জ়িকিউটিভ ডিরেক্টর (আরইডি) সূর্যপ্রসাদ যাদবের অধীনে। তাঁর কথায়, ‘‘আরসিএস প্রকল্পে উড়ান পরিষেবা দেওয়ার জন্য যে দরপত্র চাওয়া হয়েছে, সেখানে রাজ্যের এই পাঁচটি বিমানবন্দর রয়েছে। এ ছাড়াও কলাইকুন্ডা এবং হাসিমারা বিমানঘাঁটি থেকেও আমরা যাত্রী বিমান চালাতে চাই। সেখান থেকেও পরিষেবা দিতে আগ্রহীদের আহ্বান জানানো হচ্ছে।’’ আরইডি জানান, মালদহ এবং বালুরঘাটের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার তাঁদের সাহায্য চেয়েছে। ওই দুই বিমানবন্দরের লাইসেন্স পেতে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চায় রাজ্য। তবে বিমান সংস্থাগুলির ইচ্ছাপ্রকাশ করার উপরেই পুরোটা নির্ভর করছে।
সম্প্রতি দিল্লি থেকে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান অরবিন্দ সিংহ কলকাতায় এসে রাজ্যের মুখ্য সচিব রাজীব সিংহের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে বালুরঘাট ও মালদহ বিমানবন্দর নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। সূর্য বলেন, ‘‘পাঁচটি বিমানবন্দরের মধ্যে শুধু অণ্ডালেই বড় রানওয়ে রয়েছে। বাকিগুলির রানওয়ের যা দৈর্ঘ্য, তাতে ১৯ আসনের চেয়ে বড় বিমান চালানো মুশকিল।’’ মালদহ ও বালুরঘাট বিমানবন্দর চালু হলে সেখানে এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) পরিষেবা দেবেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। হাসিমারা ও কলাইকুন্ডার ক্ষেত্রে ওই দুই বিমানঘাঁটি লাগোয়া ২০ একর করে জমি রাজ্যকে দিতে হবে বলেও মুখ্য সচিবকে জানানো হয়েছে।