—প্রতীকী ছবি।
গত বছরের লকডাউন শিথিলের পর থেকে প্রতি মাসে একটু করে বিক্রি বাড়লেও, গাড়ি শিল্পে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বস্তি ফেরেনি এখনও। ফলে কার্যত করোনার প্রথম ঢেউয়ের ধাক্কায় নড়বড়ে ব্যবসার উপরেই আছড়ে পড়েছে দ্বিতীয় ঢেউ। তাকে রুখতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্ত বিধিনিষেধ, লকডাউন, নাইট কার্ফুর মতো পদক্ষেপে নতুন করে বিক্রি ধাক্কা খাবে বলে আশঙ্কা বিভিন্ন গাড়ি সংস্থার শীর্ষ কর্তাদের। তবে একই সঙ্গে তাঁরা বলছেন, শুধুমাত্র শো-রুম বন্ধ থাকাই যে মার খাওয়ার কারণ হবে তা নয়। যে সব অঞ্চলে দোকান খোলা থাকবে, সেখানেও ক্রেতার দেখা মিলবে কি না সন্দেহ। কারণ, ২.৭০ লক্ষ পেরিয়ে যাওয়া দৈনিক সংক্রমণ গাড়ি কেনার ইচ্ছেটাই কেড়ে নিতে পারে আগ্রহীদের।
কেন্দ্র অবশ্য সোমবারও শিল্পমহলকে বার্তা দিয়েছে, করোনার মোকাবিলা এবং অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রেখেই এগোবে তারা। তবে মারুতি-সুজুকির ইডি (সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং) শশাঙ্ক শ্রীবাস্তব বলছেন, ‘‘সংক্রমণ পরিস্থিতির অবনতি ক্রেতার মনে অবশ্যই একটা নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। বিক্রিতে যার প্রতিফলন পড়তে পারে।’’ তাঁর দাবি, আয় বা আর্থিক বৃদ্ধির পাশাপাশি কেনার মানসিকতা এবং ইচ্ছের উপরেও নির্ভর করে বিক্রি।
টয়োটা কির্লোস্কর মোটরের ভিপি নবীন সোনির আশঙ্কা, স্থানীয় ভাবে বিধিনিষেধ ও লকডাউনের জেরে নতুন করে ব্যবসা হারাবে অনেকটাই। একই সুর হোন্ডা কারসের সিনিয়র ভিপি রাজেশ গোয়েলের গলায়। তিনি জানিয়েছেন, বিভিন্ন শহরে ব্যবসার অবস্থা খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। নবীনের মতে, ছবিটা পরিষ্কার হবে এ মাসের শেষে বিক্রির পুরো হিসেব দেখার পরে।
তবে সকলেরই দাবি, গত বছরের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে স্বাস্থ্য বিধি মেনেই সংস্থা উৎপাদন এবং গাড়ি জোগান চালু রাখছে। যাতে দুঃসময়টা দ্রুত কেটে যায়।