প্রতীকী ছবি।
কিছু দিন আগেও দেশের রাস্তায় দ্রুত শুধু বৈদ্যুতিক গাড়ি চালানোর পক্ষেই সওয়াল করছিলেন নিতিন গডকড়ী, পীযূষ গয়ালের মতো কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। তবে তা রূপায়ণের ভাবনা নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে মতানৈক্য ছিল গাড়ি শিল্পের বড় অংশের। বছর দেড়েকের বেহাল আর্থিক দশার পরে করোনা-সংক্রমণ প্রথাগত গাড়ি বিক্রিকে যখন তলানিতে টেনে নামিয়েছে, তখন শিল্প মহলের দাবি, বৈদ্যুতিক গাড়ির ক্ষেত্রে সেই ধাক্কা হবে আরও বেশি। তাই বণিকসভা ফিকি এই গাড়িতে সুবিধা দেওয়ার বিশেষ প্রকল্প ‘ফেম-২’-র মেয়াদ বাড়ানোর পাশাপাশি, স্বল্পমেয়াদে ঋণ ও ব্যাটারি বদল-সহ কিছু সুরাহা ঘোষণার আর্জি জানিয়েছে সরকার, নীতি আয়োগ-সহ সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্তৃপক্ষের কাছে। ফেম-২ প্রকল্পের আওতায় ১০,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। যার মধ্যে বৈদ্যুতিক গাড়ি কিনলে আর্থিক সাহায্যের প্রস্তাবও আছে।
প্রচলিত ‘আইসিই’ ইঞ্জিনের চেয়ে বৈদ্যুতিক গাড়ির দাম বেশি পড়ায় তার চাহিদা ততটা বাড়েনি দেশে। ফিকির মতে, করোনার পরে সার্বিক ভাবে গাড়ির চাহিদা কমছে। উপরন্তু এই সময়ে নতুন ধরনের প্রযুক্তির ঝুঁকি না-ও নিতে পারেন মানুষ। তাই ফিকির দাবি, ফেম-২ প্রকল্প ২০২৫ সাল পর্যন্ত চালু রাখুক কেন্দ্র।