—প্রতীকী ছবি।
আজ, বুধবার দেশ জুড়ে ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ইউনাইটেড ফোরাম অব ব্যাঙ্ক ইউনিয়ন্সের (ইউএফবিইউ) আওতায় থাকা ৯টি অফিসার ও কর্মীদের সংগঠন। ফলে পশ্চিমবঙ্গ-সহ সব রাজ্যেই ব্যাঙ্কিং পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা। ইউনিয়ন নেতাদের দাবি, সমস্যা হতে পারে এটিএম থেকে টাকা তোলার ক্ষেত্রেও। বিভিন্ন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের অবশ্য আশ্বাস যে, সেগুলিতে টাকা ভরার জন্য ব্যবস্থা করেছেন তাঁরা। তবে ইউএফবিইউর ছাতার তলায় থাকা এআইবিইএর সভাপতি রাজেন নাগর বলেন, ‘‘ধর্মঘটে সামিল হবে এটিএমে নিরাপত্তারক্ষীদের সংগঠনও। তাই অধিকাংশের ঝাঁপই খুলবে না।’’
এর আগে গত শুক্রবারও সারা দেশে ব্যাঙ্ক ধর্মঘট হয়েছিল। ডাক দিয়েছিল অফিসারদের সংগঠন অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসার্স কনফেডারেশন (আইবক)।
রাজেনবাবু ও আইবকের রাজ্য সম্পাদক সঞ্জয় দাসের দাবি, একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ককে অন্যটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার বিরোধিতা করাই আমাদের ধর্মঘটের উদ্দেশ্য। তাঁরা বলেন, ‘‘একাধিক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ককে মিশিয়ে দিলেই যে ব্যাঙ্কের আর্থিক স্বাস্থ্য ভাল হবে, এটা ভুল ধারণা। স্টেট ব্যাঙ্কের সঙ্গে তার পাঁচ সহযোগীর মিশে যাওয়াই সেটা প্রমাণ করেছে। কারণ ওই সংযুক্তির পরে এক দিকে যেমন স্টেট ব্যাঙ্কের অনুৎপাদক সম্পদ বেড়ে গিয়েছিল, তেমনই তাদের ২০০ বছরের ইতিহাসে ২০১৭-১৮ সালেই ব্যাঙ্কটি প্রথম লোকসানের মুখ দেখে।’’
এ দিকে, আইবকের সাধারণ সম্পাদক সৌম্য দত্ত জানান, ‘‘ব্যাঙ্ক অব বরোদা, দেনা ব্যাঙ্ক ও বিজয়া ব্যাঙ্ককে মিশিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে ইতিমধ্যেই দিল্লি হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছি। তবে আমাদের প্রতিবাদ অফিসারদের বেতন সংশোধন নিয়েও।’’ তিনি জানান, আইবকের দাবি, ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের ইচ্ছে অনুযায়ী নয়, আফিসারদের বেতন সংশোধন করা হোক ন্যূনতম বেতনের আইনের ভিত্তিতে।