রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা গেল। — ফাইল চিত্র।
জমি-জটে প্রাকৃতিক গ্যাস জোগানের প্রস্তাবিত পাইপলাইন নির্মাণ বারবার বাধার মুখে পড়ায় ফের রাজ্যের দ্বারস্থ হল রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা গেল। বৃহস্পতিবার শিল্পসচিব বন্দনা যাদব-সহ শিল্প দফতরের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন সংস্থার ডিরেক্টর (প্রোজেক্টস) দীপক গুপ্ত এবং অন্যান্য কর্তারা।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, নবান্ন ও জেলা প্রশাসনের নানা স্তরে একাধিক বৈঠকের পরেও দুর্গাপুর-হলদিয়া পাইপলাইনের পানাগড় থেকে গয়েশপুরের সামান্য অংশে জমি ব্যবহারের অনুমতি (আরওইউ) না মেলায় যে কাজ ধাক্কা খাচ্ছে, সে কথা ওঠে বৈঠকে। রাজ্যের হস্তক্ষেপ চান গেল কর্তারা। আরওইউ-র জন্য শিল্প দফতরে আর্জি জানান। পাইপলাইন তৈরিতে দেরি হলে গ্যাস জোগানের সমস্যা বাড়ার আশঙ্কাও প্রকাশ করেন। রাজ্য ফের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে। তবে এ নিয়ে শিল্পসচিবের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা হলেও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। সূত্র জানাচ্ছে, বৈঠকে গ্যাস বণ্টনকারী বেঙ্গল গ্যাস কোম্পানির (বিজিসি) কর্তারা ছিলেন। দক্ষিণবঙ্গে তা দেবে হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম, আইওসি আদানিও।
রাজ্যে প্রাকৃতিক গ্যাস (সিএনজি, পিএনজি) দিতে পানাগড় পর্যন্ত পাইপলাইন চালু হওয়ায় কার্যত ঘুরে দাঁড়িয়েছে ম্যাটিক্স গোষ্ঠীর সার কারখানা। তাই শিল্পের চোখ প্রকল্পে। কিন্তু গোড়া থেকেই জমি-জটে পিছোচ্ছে সেটি। বাড়ছে খরচও। একটি শাখা পানাগড় থেকে হুগলির রাজারামবাটি হয়ে নদিয়ার গয়েশপুরে পৌঁছবে। অন্যটি রাজারামবাটি থেকে হলদিয়া। গয়েশপুর পর্যন্ত শাখার ১৩৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের মধ্যে পূর্ব বর্ধমানের বাবলায় মাত্র ২৫০ মিটারেরও কম জমির আরওইউ মেলেনি। সেটি থেকেই কলকাতায় পাইপলাইনে গ্যাস আসবে। অন্য শাখাটির কাজও পিছিয়ে একই সমস্যায়। এ দিন সে ব্যাপারেও কথা হয়। এ দিকে সিএনজির দাম কিলোগ্রামে ২.৫০ টাকা করে কমেছে।