—প্রতীকী চিত্র।
শীতে চা গাছে ভাল পাতা না হওয়ায় বাজারে চায়ের মান পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। সেই সঙ্গে চাহিদার তুলনায় জোগান বেশি হয়ে গেলে দাম পড়ে যাবে, এটাও চিন্তা বাড়ায় বাগানগুলির। এই কারণেই বছর পাঁচেক আগে থেকে শীতের সময়ে কয়েক মাস দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বাগানে পাতা তোলা থেকে শুরু করে চা উৎপাদন, পুরোটা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল টি বোর্ড। তার বদলে সেই সময়ে গাছের পরিচর্যা এবং বাগানের অন্যান্য রক্ষণাবেক্ষণের কাজে মন দেওয়া হয়। এ বছর বাগান বন্ধের সেই দিনক্ষণই ঘোষণা করা হয়েছে। টি বোর্ড বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, আগামী ১১ ডিসেম্বরের পরে দার্জিলিং, সিকিম, হিমাচলপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ডের চা বাগানে আর গাছ থেকে পাতা তোলা যাবে না। পশ্চিমবঙ্গের ডুয়ার্স ও তরাই এবং বিহারের বাগানে সেই সময়সীমা ২৩ ডিসেম্বর। দার্জিলিং, সিকিম, হিমাচলপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডের বিভিন্ন বাগানের কারখানায় পাতা থেকে চা তৈরির শেষ দিন হল ১৩ ডিসেম্বর। ডুয়ার্স, তরাই ও বিহারের ক্ষেত্রে সেই সময়সীমা ২৬ ডিসেম্বর।
বাগানগুলিতে যে বাছাই, প্যাকিং এবং নির্দিষ্ট মজুত ভান্ডারে প্যাকেটজাত চা পাঠানোর পর্ব চলে, তা দার্জিলিং, সিকিম, হিমাচলপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ডে ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে সেরে ফেলতে হবে। ডুয়ার্স, তরাই ও বিহারের সিটিসি চায়ের ক্ষেত্রে ৬ জানুয়ারি এবং সেখানকার বাগানগুলির অর্থোডক্স ও গ্রিন চায়ের ক্ষেত্রে ১১ জানুয়ারির মধ্যে প্রক্রিয়াটি শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে বোর্ড।