—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
পরিষেবা ক্ষেত্রের শ্লথ গতি টেনে নামাল এইচএসবিসি-র ‘পার্চেজ়িং ম্যানেজার ইনডেক্স’ বা পিএমআই সূচককে। শুক্রবার সেটি সামনে আসার পরে দেখা গেল, নতুন বছরের প্রথম মাসে দেশে ব্যবসা বা শিল্প সংক্রান্ত কর্মকাণ্ড বৃদ্ধির হার ১৪ মাসের তলানিতে নেমেছে। কিছু কিছু সংস্থায় দ্রুত হারে কর্মী নিয়োগ হচ্ছে বটে। কিন্তু সার্বিক ভাবে আর্থিক পরিস্থিতি ধাক্কা খাওয়ার আশঙ্কা আগের থেকে বেড়েছে।
সূচকটি তৈরি করে মূল্যায়ন সংস্থা এস অ্যান্ড পি। তাদের তথ্য জানাচ্ছে, এ মাসে পিএমআই সূচক ৫৭.৯-এ নেমেছে। ২০২৩-এর নভেম্বরের পরে সব থেকে কম। গত মাসে ছিল ৫৯.২। তবে কল-কারখানায় উৎপাদনের পিএমআই ডিসেম্বরের ৫৬.৪ থেকে ৫৮.০-এ উঠে হয়েছে ছ’মাসে সর্বোচ্চ। উল্টো দিকে, পরিষেবা সূচক ৫৬.৮-এ নেমে হয়েছে ২৬ মাসের সর্বনিম্ন। উল্লেখ্য পিএমআই সূচকের ৫০-এর উপর থাকা মানে বৃদ্ধি।
সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, এত দিন পরিষেবা ভারতীয় অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি ছিল। কিন্তু এ দিন তাতেই চলতি অর্থবর্ষের আর্থিক বৃদ্ধির রাস্তায় ঝুঁকি তৈরির ইঙ্গিত। এইচএসবিসি-র মুখ্য অর্থনীতিবিদ প্রাঞ্জুল ভান্ডারির দাবি, ভারতের কারখানায় উৎপাদনের কাজ অক্টোবর-ডিসেম্বরে ঝিমুনি কাটিয়ে মাথা তুলেছে নতুন বরাত এবং উৎপাদনের হাত ধরে। কিন্তু দুর্বল হওয়ার ইঙ্গিত স্পষ্ট পরিষেবার।
সমীক্ষা বলছে, এরই মধ্যে রুপোলি রেখা বিশ্ব বাজারে চাহিদার উন্নতি, বিভিন্ন শিল্প ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব কর্মসংস্থান। যদিও উন্নত মানের চাকরি নিশ্চিত করা মোদী সরকারের অন্যতম চ্যালেঞ্জ। আর একটি চ্যালেঞ্জ মূল্যবৃদ্ধির মোকাবিলা। তবে সেটা উৎপাদন ক্ষেত্রে নয়, পরিষেবায়। ২০২৩-এর অগস্টের পরে সব থেকে বেশি হারে দাম বাড়িয়েছে পরিষেবা সংস্থাগুলি। তাদের বেড়ে যাওয়া খরচ গ্রাহকদের উপরে চাপিয়ে দেওয়ারই ইঙ্গিত এটি।