— প্রতীকী চিত্র।
উৎসবের মরসুমে বাজারে কেনাকাটার জোয়ার আসার অপেক্ষায় বছরভর হা-পিত্যেশ করে বসে থাকেন ব্যবসায়ীরা। এ বারও সেই আশায় সেজে উঠেছিল দোকানগুলি। ক্রেতা টানতে এবং বাড়তি চাহিদা মেটাতে তৈরি ছিল নেট বাজারও। কিন্তু সমীক্ষা বলছে, ভিড়ের বহর দেখে মনে হতে পারে খুচরো বিক্রি বিপুল বেড়েছে। বাস্তবে প্রাথমিক পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, এ বছর উৎসবের কেনাকাটা বৃদ্ধির হার আগের বছরের ৩২% থেকে কমে প্রায় অর্ধেক হয়ে থমকে গিয়েছে ১৫ শতাংশে। ২০২২ সালের ৮৮% বৃদ্ধি থেকে আরও অনেকটা কম।
সমীক্ষাটি জাপানের উপদেষ্টা সংস্থা নমুরার। রিপোর্টে তাদের দাবি, এ বছর উৎসবের সময় চাহিদা পোক্ত ছিল গ্রামাঞ্চল, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির শহরে। কিন্তু মেট্রো শহর এবং শিল্পমহলের ক্ষেত্রে স্পষ্ট হয়েছে দুর্বলতা। ফলে গোটা মরসুমের কেনাকাটায় একটা মিশ্র ছবি ধরা পড়েছে। সে দিকে তাকালে খালি চোখে বিক্রি বেড়েছে মনে হলেও, সার্বিক ভাবে তার বৃদ্ধির হার আগের বছরের থেকে শ্লথ।
গত মাসে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকও বলেছিল দেশের শহরাঞ্চলে চাহিদার মন্থর হওয়ার কথা। নমুরার বিশ্লেষকদের দাবি, অর্থনীতিতে একটা নির্দিষ্ট সময় অন্তর সাময়িক ভাবে আর্থিক কর্মকাণ্ড কমে। এটি সেই চক্রাকারে ফিরে আসা ঝিমুনির ইঙ্গিত। তবে উদ্বেগ উস্কে দিয়ে সংস্থাটির এটাও দাবি, চলতি অর্থবর্ষে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের ৭.২% আর্থিক বৃদ্ধির পূর্বাভাস একটু বেশি রকমের প্রত্যাশা বলেই মনে হচ্ছে তাদের। কারণ নমুরার নিজের দেওয়া ৬.৭% বৃদ্ধির পূর্বাভাসই পূরণ হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। কারণ অর্থনীতিতে ঝুঁকি ক্রমশ বাড়ছে।