—প্রতীকী চিত্র।
কর্পোরেট সংস্থাগুলির লগ্নিতে ভর করে বৃদ্ধির পরবর্তী পর্যায়ে ভারত পা রাখবে বলে জানাল রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের নিবন্ধ। যা বলছে, মূল্যবৃদ্ধির হার ৪ শতাংশে নেমে আসাই হবে সেই বৃদ্ধির ভিত। মঙ্গলবার ডেপুটি গভর্নর মাইকেল দেবব্রত পাত্রের নেতৃত্বে লেখা নিবন্ধে ২০২৪ সালে বিশ্ব অর্থনীতিও প্রত্যাশার তুলনায় বেশি হারে বাড়বে বলে জানানো হয়েছে। সে ক্ষেত্রে অপর নিবন্ধে ভারতের জিডিপির সাপেক্ষে ঋণের পরিমাণ নিয়ে আইএমএফের আশঙ্কাও উড়িয়েছেন লেখকেরা। দাবি করেছেন, তা আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানটির পূর্বাভাসের তুলনায় অনেকটাই কম হওয়ার সম্ভাবনা। তবে আরবিআই এটাও স্পষ্ট করেছে, এই মতামত লেখকদের নিজস্ব, প্রতিষ্ঠানটির নয়।
এ দিকে, মোদী সরকার বিশ্বের মধ্যে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার বজায় রাখার সাফল্য তুলে প্রচার চালালেও চড়া মূল্যবৃদ্ধি, বেসরকারি লগ্নির বিস্তার আশানুরূপ না হাওয়া, আমজনতার বড় অংশের এখনও আর্থিক স্বচ্ছলা না ফেরা, এমন নানা সমস্যা নিয়ে বারবারই তোপ দাগছেন বিরোধীরা। মঙ্গলবার গত মাসে দেশের আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদনে এ নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই কিছু উল্লেখ করেনি অর্থ মন্ত্রক। উল্টে দাবি করেছে, বিভিন্ন মাপকাঠিতে উন্নতি হচ্ছে অর্থনীতির।
চলতি অর্থবর্ষের প্রথম থেকেই ভাল গতি এগোচ্ছে দেশের অর্থনীতি। এপ্রিল-ডিসেম্বরের পরিসংখ্যান অনুসারে, দেশে চলা যে সমস্ত প্রকল্পের জন্য ঋণ নেওয়া হয়েছে, তার অঙ্ক দাঁড়িয়েছে ২.৪ লক্ষ কোটি টাকা। যা তার আগের বছরের তুলনায় ২৩%। তার উপরে বাজারে প্রথম শেয়ার ছেড়ে টাকা তোলার পরিমাণ বেড়েছে। নিবন্ধে দাবি, সব মিলিয়ে বেসরকারি ক্ষেত্রগুলির উৎসাহের এই ধারা আগামী দিনেও বজায় থাকার সম্ভাবনা। যা গতি আনবে আর্থিক বৃদ্ধির চাকায়।
পাশাপাশি, জানুয়ারিতে মূল্যবৃদ্ধির হার মাথাচাড়া দিলেও, এই সময়ে জ্বালানি এবং খাদ্যপণ্য বাদে মূল্যবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ২০১৯ সালের অক্টোবরের পরে সব চেয়ে কম। আগামী দিনে জিনিসপত্রের দর বৃদ্ধিতে স্থিতিশীলতা এলে এবং মূল্যবৃদ্ধির হার ৪ শতাংশে নামলে তা বৃদ্ধির ভিত গড়ে দিতে পারে বলেও মনে করেন নিবন্ধের লেখকেরা।
অর্থ মন্ত্রকের আবার বক্তব্য, ২০২৪-২৫ সালে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার থাকবে ৭%। সেই সঙ্গে তাদের দাবি, পরিবারের কেনাকাটায় উন্নতি ঘটবে। বেসরকারি লগ্নির হাত ধরে মূলধনী খাতে সম্পদ তৈরি হবে। মূল্যবৃদ্ধিও অনেকটা আয়ত্তের মধ্যে আসার কথা ঘোষণা করেছে মন্ত্রক। জানিয়েছে, মাথা নামিয়েছে দেশে বেকারত্বও।