—প্রতীকী চিত্র।
আগামী বছরের প্রথমার্ধে লোকসভা নির্বাচন। তার বিজ্ঞপ্তি জারি ও আদর্শ আচরণবিধি চালু হয়ে যেতে পারে মার্চ থেকে। এ দিকে রাজস্ব আয়ে ভাটার টান রাজ্যে রাজ্যে। সব মিলিয়ে চলতি অর্থবর্ষে বহু রাজ্যের মূলধনী খরচই বাজেটে স্থির হওয়া লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে পিছিয়ে থাকতে পারে বলে এক সমীক্ষায় জানাল মূল্যায়ন সংস্থা ইক্রা রেটিংস। অরুণাচলপ্রদেশ, অসম, গোয়া, মণিপুর, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড এবং মিজ়োরামের মতো কয়েকটি রাজ্যকে বাদ দিয়ে বাকি ২১টি রাজ্যের আর্থিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে এই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। সেখানে জানানো হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, হিমাচলপ্রদেশ, কর্নাটক, কেরল এবং পঞ্জাব মূলধনী খরচে অনেকটাই পিছিয়ে। এই খাতে বাকিদের বৃদ্ধির হার এখনও পর্যন্ত রয়েছে দুই অঙ্কে। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, দেশে বেসরকারি লগ্নিতে যখন ভাটার টান, তখন অর্থনীতিকে গতিশীল রাখতে মূলধনী খরচ বৃদ্ধিতে জোর দিচ্ছে কেন্দ্রের মোদী সরকার। ঠিক এই সময়ে তাতে ধাক্কা মোটেও সুখবর নয়।
ইক্রার মুখ্য অর্থনীতিবিদ অদিতি নায়ারের ব্যাখ্যা, চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ছ’মাসে (এপ্রিল-সেপ্টেম্বর) এই ২১টি রাজ্যের সামগ্রিক মূলধনী খরচ বাজেটের ৩৫% ছুঁয়েছে। যা নতুন নজির। সারা অর্থবর্ষের বাজেট-লক্ষ্যমাত্রাকে ছুঁতে গেলে বাকি ছ’মাসে তা অন্তত ২৮% হতে হবে। এই সম্ভাবনাই কম। কারণ, চতুর্থ ত্রৈমাসিকের (আগামী জানুয়ারি-মার্চ) যে কোনও সময়ে সাধারণ নির্বাচনের আদর্শ আচরণবিধি কার্যকর হয়ে যেতে পারে। ফলে মূলধনী খরচে ধাক্কা অবশ্যম্ভাবী।
রিপোর্টে আরও দাবি, গত এপ্রিল-সেপ্টেম্বরে ওই ২১টি রাজ্যের রাজস্ব ঘাটতি এবং রাজকোষ ঘাটতি যথাক্রমে ৭০,০০০ কোটি টাকা এবং ৩.৫ লক্ষ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। যা এক বছর আগে যথাক্রমে ৫০,০০০ কোটি এবং ২.৪ লক্ষ কোটি ছিল। ফলে বেড়েছে নিট ঋণ। এখনও পর্যন্ত রাজ্যগুলির মূলধনী খরচকে গতিশীল রেখেছে এই খাতে কেন্দ্রের আগাম মঞ্জুরি। সেই কারণেই অর্থবর্ষের প্রথমার্ধে তা বাজেটের হিসাবের ৩৫ শতাংশে পৌঁছতে পেরেছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় অনুদান কমায় রাজ্যগুলির রাজস্ব সংগ্রহ বৃদ্ধির হার এখনও পর্যন্ত রয়েছে ১০ শতাংশের নীচে (৮.৪%)। যা প্রত্যাশার তুলনায় কম এবং ধাক্কা দিতে পারে তাদের মূলধনী খরচে।