—প্রতীকী চিত্র।
আগামী বছর ভারতে লোকসভা ভোট। সোমবার আমেরিকার ব্রোকারেজ সংস্থা গোল্ডম্যান স্যাক্স জানাল, বিশ্ব অর্থনীতির সঙ্কট থেকে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে পারলেও, ভোট ঘিরে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তাই এ দেশের সামনে সব থেকে বড় ঝুঁকি। নির্বাচনের আগে সরকারি খরচের জোয়ার আর্থিক বৃদ্ধিতে জ্বালানি জোগাবে। কিন্তু তা মেটার পরে অনিশ্চয়তা তৈরি হবে। কারণ, দেশে তখন শিল্পের লগ্নি নির্ভর করবে ভোটের ফলের উপর। আর্থিক সংস্কার এবং চালু নিয়ম-নীতির ভবিষ্যৎ বুঝে সেই সিদ্ধান্ত নেবে সংস্থাগুলি। যার প্রভাব পড়তে পারে বৃদ্ধির উপরে। মূলত এই জন্যই ২০২৩ (ক্যালেন্ডার বর্ষ) সালের তুলনায় সামান্য হলেও আগামী বছর আর্থিক বৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়েছে গোল্ডম্যান। চলতি অর্থবর্ষেও তাদের পূর্বাভাস রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের ৬.৫ শতাংশের থেকে কম, ৬.২%।
খুচরো বাজারের মূল্যবৃদ্ধি নিয়েও সমীক্ষায় সতর্ক করেছে সংস্থা। আগামী বছরে তার পূর্বাভাস দিয়েছে ৫.১%। যা রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের ৪.৭% অনুমানের থেকে বেশি। ইঙ্গিত, এ জন্য খাদ্যপণ্যের দাম দায়ী হতে পারে। যে কারণে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে সরকার ভর্তুকি-সহ কিছু পদক্ষেপ করবে বলে আশাও করা হয়েছে। তবে মূল্যবৃদ্ধির কারণেই ২০২৪-এর শেষের আগে সুদ কমার সম্ভাবনা দেখছে না তারা।
এ দিকে, ভারতীয় অর্থনীতির বহর ৪ লক্ষ কোটি ডলার পেরিয়েছে বলে সমাজমাধ্যমে ছড়ানো খবরটি নিয়ে সোমবার কেন্দ্রকে বিঁধেছে বিরোধীরা। কংগ্রেসের অভিযোগ, ‘‘জাল’ খবর। তা রটানো হয়েছে চাঞ্চল্য তৈরি করতে ও শিরোনামে আসতে। এক্স-এ দলের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ লিখেছেন, মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী এবং কিছু কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ‘মিথ্যে’ দাবি করেছেন। গতকাল দুপুর ২টো ৪৫ এবং সন্ধ্যে ৬ টা ৪৫-এর মধ্যে দেশ যখন ক্রিকেট খেলায় মজে ছিল, তখন মোদী সরকারের হয়ে এই ঢাক পিটিয়েছেন ওই মন্ত্রীরা এবং প্রধানমন্ত্রীর পছন্দের শিল্পপতি। তোষামোদ এবং শিরোনামে আসার করুণ চেষ্টা।