—প্রতীকী চিত্র।
গত মে মাসের তুলনায় জুনে কলকাতা সার্কলে মোবাইল ব্যবহারকারী কমেছে প্রায় ২.৬৭ লক্ষ। যা দেশের মধ্যে সর্বাধিক। টেলিকম নিয়ন্ত্রক ট্রাইয়ের তথ্যে প্রকাশ, মে মাসে কলকাতা সার্কলে গ্রাহক ছিলেন ২.৩৫ কোটির মতো। পরের মাসে তা-ই কমে হয়েছে প্রায় ২.৩২ কোটি। যদিও বেঙ্গল সার্কলে যোগ দিয়েছেন ৬৬৯৫ জন গ্রাহক।
সারা দেশে অবশ্য মোট ২২টি টেলিকম সার্কলের মধ্যে জুনে গ্রাহক কমেছে মাত্র ৬টিতে। মোবাইল সংযোগ ছাড়ায় কলকাতার পরেই কেরল সার্কল। সেখানে গ্রাহক কমেছে ১.৮১ লক্ষের মতো। হিমাচলপ্রদেশ, পঞ্জাব, হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশ (পশ্চিম) সার্কলেও ব্যবহারকারী কমেছে। তবে তার পরিমাণ এক লক্ষের অনেক কম।
নিয়ন্ত্রকের রিপোর্টই অনুযায়ী, কলকাতায় মোবাইল সংযোগ এত কমার অন্যতম কারণ জুনে প্রায় ২ লক্ষ গ্রাহকের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থা বিএসএনএল ত্যাগ। এয়ারটেলে সংখ্যাটা মোটামুটি একই রয়েছে। তবে ভোডাফোন গ্রাহক কমেছে ২০,০০০, জিয়োতে প্রায় ৪৪,০০০।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, বিএসএনএলের দেরি করে ৪জি আনা কিংবা পরিষেবা নিয়ে অভিযোগ বহু মানুষকে ক্ষুব্ধ করেছে। তাই তাদের সংযোগ নিয়মিত ছাড়তে দেখা যায় গ্রাহকদের। তবে জুনে কলকাতায় সংখ্যাটা অনেক বেশি। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে মোবাইলের মাসুল বৃদ্ধি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বেসরকারি টেলিকম সংস্থার পূর্বাঞ্চলীয় কর্তার দাবি, ‘‘মাসুল বৃদ্ধি এর কারণ হলে সারা দেশেই তা হত। ফলে কলকাতায় মোবাইল গ্রাহকের সংখ্যা কেন এতটা কমেছে তা বুঝতে আরও বিস্তারিত তথ্য দেখা প্রয়োজন।’’ একাংশের দাবি, অনেকে একাধিক ফোন ব্যবহার করেন। খরচ কমাতে তেমন বহু গ্রাহক বাড়তি সংযোগ বন্ধ করেছেন। কারও কারও মতে, একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর বেশ কিছু অব্যবহৃত নম্বর ডিলিট করা হয়। সব সংস্থাই তা করে থাকে। সেটাও সংযোগ কমার কারণ।