GDP

চওড়া হয়েছে পরিবারের ধার, মেটাতে সঞ্চয়ে হাত

বৃহস্পতিবার বার্ষিক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে শীর্ষ ব্যাঙ্ক। সেখানে বলা হয়েছে, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে দেশের পরিবারগুলির মিলিত ঋণ পৌঁছে গিয়েছে জিডিপির ৫.৭ শতাংশে। যা সর্বকালীন রেকর্ড।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০২৪ ০৯:০১
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

বাড়ছে দায়, ফুরোচ্ছে সঞ্চয়। রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের রিপোর্টে উঠে এসেছে এমনই আশঙ্কার ছবি!

Advertisement

বৃহস্পতিবার বার্ষিক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে শীর্ষ ব্যাঙ্ক। সেখানে বলা হয়েছে, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে দেশের পরিবারগুলির মিলিত ঋণ পৌঁছে গিয়েছে জিডিপির ৫.৭ শতাংশে। যা সর্বকালীন রেকর্ড। আবার একই অর্থবর্ষে তাদের নিট আর্থিক সঞ্চয় কমতে কমতে ঠেকেছে জিডিপির ৫.২ শতাংশে। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, অতিমারির সময়ে কাজ হারানো বহু মানুষ এখনও কাজের বাজারে ফিরতে পারেননি, অনেকের আবার রোজগার রয়েছে আগের জায়গা থেকে পিছিয়ে। এই অবস্থায় ধার যেমন করতে হয়েছে, তেমনই সেই ধার মেটাতে হাত দিতে হয়েছে সঞ্চয়ে। আর একটি অংশের ব্যাখ্যা, বেতনভুক মধ্যবিত্তদের একাংশ লকডাউনের সময়ে যে অর্থ সঞ্চয় করেছিলেন, ফুরোতে বসেছে তা-ও। সব মিলিয়ে এই ছবি। বস্তুত, রিপোর্টেই বলা হয়েছে, অতিমারির সময়ে ২০২০-২১ সালে এই নিট সঞ্চয় জিডিপির ১১.৬ শতাংশে পৌঁছেছিল।

এর পাশাপাশি শীর্ষ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, ২০২৪-২৫ সালে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার হতে পারে ৭%। খুচরো বাজারের মূল্যবৃদ্ধির হার কমার ফলে সাধারণ মানুষের খরচ করার ক্ষমতা বাড়ছে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে। সেটাই বৃদ্ধির হার আরও বাড়াতে পারে। তবে সামগ্রিক মূল্যবৃদ্ধি মূলত কমছে খাদ্যপণ্য ও জ্বালানি বাদে অবশিষ্ট পণ্য ও পরিষেবার দাম (কোর ইনফ্লেশন) হ্রাসের ফলে। আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার জন্য খাবারদাবারের দাম নিয়ে অনিশ্চয়তা দূর হয়নি। সে ক্ষেত্রে খাদ্যপণ্যের দাম বাড়বে। যার জেরে মূল্যবৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণে আনার প্রয়াস ধাক্কা খেতে পারে ফের।

Advertisement

আর গত অর্থবর্ষে বিশ্ব অর্থনীতির অনিশ্চয়তা-সহ বিভিন্ন প্রতিকূলতা সত্ত্বেও জিডিপি ৭.৬% হারে বেড়ে থাকতে পারে বলে দাবি শীর্ষ ব্যাঙ্কের। তাদের ব্যাখ্যা, কর্পোরেট সংস্থার ফলাফল ভাল হওয়ায় এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির হিসাবের খাতা শক্তপোক্ত হওয়ায় লগ্নির চাহিদা বেড়েছে। সেই সঙ্গে সরকারের মূলধনী খরচের জোর, পোক্ত আর্থিক নীতি, নিয়ন্ত্রণ বিধি এবং ঋণনীতির ফলে অর্থনীতি গতিশীল রয়েছে। শহরের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলেও চাহিদা বৃদ্ধির লক্ষণ স্পষ্ট। আজ, শুক্রবার জিডিপির পরিসংখ্যান প্রকাশ করার কথা কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান মন্ত্রকের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement