অরবিন্দ সুব্রহ্মণ্যন।
করোনার ধাক্কায় বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দা দেখা দিলেও, চলতি অর্থবর্ষে ভারতের বৃদ্ধির হার ১.৯% দাঁড়াবে বলে পূর্বাভাস আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের। বিশ্ব ব্যাঙ্কের ধারণা, তা হবে ১.৫%-২.৮%। এই দুই পূর্বাভাসই ‘অত্যন্ত প্রত্যাশাপূর্ণ’ বলে মনে করেন প্রাক্তন মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা অরবিন্দ সুব্রহ্মণ্যন। তিনি বলেন, এক মাসের আর্থিক কর্মকাণ্ড বন্ধ থাকলে ওই হার নামবে শূন্যের নীচে। এই অবস্থা থেকে অর্থনীতিকে ঘুরিয়ে দাঁড় করাতে ১০ লক্ষ কোটি টাকা (জিডিপির ৫%) অতিরিক্ত ব্যয় করতে হবে কেন্দ্রকে।
যদিও মূল্যায়ন সংস্থা ফিচের মতে, ইতিমধ্যেই এক দফা ত্রাণ ঘোষণার পরে ভারতের সামনে খুব বেশি নতুন করে পদক্ষেপ করার সুযোগ সে ভাবে নেই। এমনিতেই রাজকোষ ঘাটতি বৃদ্ধি পাওয়া এবং আর্থিক কর্মকাণ্ড ঝিমিয়ে থাকার হাত ধরে চলতি অর্থবর্ষে দেশের জিডিপির সাপেক্ষে ঋণের অনুপাত বেড়ে ৭৬ শতাংশে পৌঁছবে বলে মনে করা হচ্ছে। কমবে বৃদ্ধির হারও। তার উপরে আরও ত্রাণ ঘোষণা হলে শেষ পর্যন্ত ভারতের ঋণ নেওয়ার ক্ষমতায় (ক্রেডিট রেটিং) বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।
কেন্দ্রও বুধবার আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় রেখে মানুষের জীবন ও জীবিকার সুরক্ষার দিকে জোর দিয়েছে। জি-২০ দেশগুলির অর্থমন্ত্রী ও শীর্ষ ব্যাঙ্ক গভর্নরদের ভিডিয়ো কনফারেন্সে ভারত ইতিমধ্যে কী কী পদক্ষেপ করেছে, তা তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। জোর দেন এক সঙ্গে কাজ করায়।