প্রতীকী ছবি।
দুর্বার গতিতে ছুটছে তেলের দর। কলকাতায় আজ, শনিবার লিটারে ৯৬ টাকা পেরিয়ে গেল পেট্রল। ডিজেল ৯০ টাকার একেবারে মুখে পৌঁছেছে। এ বছরে জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত দেশে ৪৮ বার দাম বাড়লেও মাত্র চারবার কমেছে বলে শুক্রবার মোদী সরকারকে বিঁধেছে কংগ্রেস। এ দিন দেশ জুড়ে জ্বালানির দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে ডাকা বিক্ষোভ কর্মসূচিতে তাদের অভিযোগ, তা-ও দর কমেছিল ২৭ ফেব্রুয়ারি বিভিন্ন রাজ্যে বিধানসভা ভোটের দিন ঘোষণার পরে। আর ভোট মিটতেই প্রায় রোজই নতুন রেকর্ড গড়ছে পেট্রল-ডিজেল।
আজ কলকাতায় আইওসি-র পাম্পে ২৬ পয়সা বেড়ে লিটার পিছু পেট্রল বিক্রি হচ্ছে ৯৬.০৬ টাকায়। শুক্রবারের চেয়ে ২৩ পয়সা দামি হয়ে আজ এক লিটার ডিজেলের দর হল ৮৯.৮৩ টাকা। এর আগেই দেশের সাতটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের শ’খানেক শহরে পেট্রল ১০০ টাকা পার করেছে। রাজস্থানের শ্রীগঙ্গানগরের মতো জায়গায় পেট্রল তো ওই মাইলফলক ছাড়িয়েইছে, ডিজেলেও দাঁড়িয়ে ১০০-এর মুখে।
তেলের লাগামছাড়া দাম নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে মানুষের মধ্যে। বাড়ছে মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কাও। এই অবস্থায় শুক্রবার তেল ও রান্নার গ্যাসের চড়া দাম, বেকারত্বের হার, বেহাল আর্থিক দশার কথা তুলে ধরে কংগ্রেস। তাদের কটাক্ষ, প্রধানমন্ত্রী শুধু ভোটের সময়েই মানুষের কথা ভাবেন। টুইটে কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধীর তোপ, বিজেপি সরকার মানুষকে লুঠে চলেছে। কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরাও চড়া উৎপাদন শুল্কের জন্য কেন্দ্রকে বিঁধেছেন। শুল্ক ফেরানো, পেট্রোপণ্যকে জিএসটিতে আনা এবং মানুষের কাছে দর কমার সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বিরোধী দল।
যদিও সেই দাবিতে কান দিচ্ছে না মোদী সরকার। আজও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ রাজস্থানে বলেন, বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দরের কথাও মাথায় রাখতে হবে। তা ছাড়া কংগ্রেসশাসিত রাজস্থানেই তেলে ভ্যাট সর্বোচ্চ। ফলে যাঁরা বিরোধিতা করছেন, আগে তাঁদের শুল্ক কমানো উচিত। এই টানাপড়েনের মধ্যে আমজনতা অবশ্য তাকিয়ে সুরাহা মেলে কি না, তার দিকেই।