—প্রতীকী চিত্র।
মাসের শুরুতেই মোবাইলের মাসুল এক ধাক্কায় ১০%-২৭% বাড়িয়েছে টেলি সংস্থা রিলায়্যান্স জিয়ো, ভারতী এয়ারটেল ও ভোডাফোন আইডিয়া (ভি)। এ বার সেই মাসুল বৃদ্ধি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
মাসুলের বিপুল বৃদ্ধি নিয়ে শুক্রবার মোদী সরকারকে আক্রমণ করেন বিরোধীরা। কংগ্রেসের জেনারেল সেক্রেটারি রণদীপ সিংহ সূরজেওয়ালা বলেন, তিন সংস্থার এক দিনে গড়ে ১৫% মাসুল বাড়ানোর ঘটনা থেকে স্পষ্ট, সরকারের নিয়ন্ত্রণ বা নজরদারি নেই। তাঁর প্রশ্ন কী ভাবে দেশের ১০৯ কোটি মোবাইল ব্যবহারকারীর থেকে অতিরিক্ত প্রায় ৩৪,৮২৪ কোটি টাকা ‘লোটায়’ সায় দেওয়া হচ্ছে? এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর জবাবও চেয়েছে কংগ্রেস।
এর পাল্টা হিসেবে শুক্রবার রাতে একাধিক দেশে মোবাইলের মাসুল তুলে ধরে যোগাযোগ মন্ত্রক। দাবি করে, বিশ্বে এই খাতে কম খরচের দেশগুলির মধ্যে অন্যতম ভারত। ফলে বিরোধীদের অভিযোগ ভিত্তিহীন। বাজারে প্রতিযোগিতা এবং চাহিদা-জোগানের ভিত্তিতে মোবাইলের মাসুল স্থির হয়। সরকার বা টেলিকম নিয়ন্ত্রক ট্রাই তাতে হস্তক্ষেপ করে না। বরং তারা চায় গ্রাহকের স্বার্থ রক্ষা করে টেলি শিল্পে লগ্নি বাড়ানো এবং প্রযুক্তিগত উন্নতি। দেশে তিনটি বেসরকারি এবং একটি সরকারি টেলি পরিষেবা সংস্থা থাকা প্রতিযোগিতার পরিবেশ তৈরির পক্ষে আদর্শ বলেও দাবি তাঁদের।