প্রতীকী ছবি।
আই ফোন-১৪ বাজারে আসার দু’সপ্তাহের মধ্যে ভারতে তা উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অ্যাপল। তামিলনাড়ুর শ্রীপেরুম্বুদুরের কারখানায় তা তৈরি করবে অ্যাপলের পণ্য উৎপাদনকারী সংস্থা ফক্সকন। সংবাদমাধ্যমের খবর, এ বার তাইওয়ানের ফক্সকন এবং চিনের লাক্সশেয়ার প্রিসিশন ইন্ডাস্ট্রিকে ভারতে এয়ার পড এবং বিটস হেডফোন উৎপাদনের ব্যাপারেও নির্দেশ দিয়েছে আমেরিকার স্মার্টফোন সংস্থাটি। অ্যাপল যদিও সংবাদ সংস্থার এই সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেয়নি। তবে ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য, ভারতে বৈদ্যুতিন পণ্য উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কেন্দ্র যে কর্মসূচি নিয়েছে, অ্যাপলের সিদ্ধান্ত তাকে অনেকটা গতি দেবে।
আই ফোন-এসই দিয়ে ভারতে অ্যাপলের পণ্য উৎপাদন শুরু করেছিল ফক্সকন। এখন তামিলনাড়ুতে আই ফোন-১৩ উৎপাদন হয়। সেখানেই আই ফোন-১৪ তৈরি হবে। ভারতের বাজারে বিক্রির পাশাপাশি তা রফতানিও হবে বিদেশে। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, চলতি অর্থবর্ষের প্রথম পাঁচ মাসে ভারত থেকে ১০০ কোটি ডলারের আই ফোন রফতানি হয়েছে। পুরো বছরে ২৫০০ কোটি ডলারের রফতানি হবে বলে মনে করছে সংস্থা। এরই মধ্যে ভারতে বিটস হেডফোন তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করেছে ফক্সকন। পরবর্তী ধাপে হতে পারে এয়ার পড উৎপাদনও। অন্য দিকে, লাক্সশেয়ার ভিয়েতনামে পণ্য উৎপাদনে জোর দিলেও ভবিষ্যতে ভারতেও উৎপাদন প্রক্রিয়ার একাংশ সরিয়ে আনতে পারে বলে সূত্রের খবর।
বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, আইফোন সবচেয়ে বেশি তৈরি হয় চিনে। কিন্তু আমেরিকার সঙ্গে চিনের বাণিজ্য যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই কৌশল বদলাতে থাকে অ্যাপল। চিনের বাইরে পণ্যের উৎপাদন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় তারা। একই সঙ্গে অতিমারির মোকাবিলায় বেজিং যে রকম কড়া পদক্ষেপ করেছে তাতে অন্যান্য সংস্থার পাশাপাশি অ্যাপলের সরবরাহ ব্যবস্থাও বিঘ্নিত হয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে ভারতের মাটিতে বৈদ্যুতিন পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে কেন্দ্রের উৎসাহ প্রকল্পও। এই সব মিলিয়ে ভারতের ব্যাপারে উৎসাহ বাড়ছে অ্যাপলের।