প্রতীকী ছবি
চিন থেকে যে সমস্ত সংস্থা বিনিয়োগ সরাতে চাইছে, তাদের সঙ্গে বেশ কয়েক মাস আগে থেকেই কথাবার্তা শুরু করেছে শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রক। চাইছে, সেই লগ্নির একাংশ আসুক ভারতে। তাতে দেশের মাটিতে উৎপাদন চাঙ্গা হবে, বাড়বে কর্মসংস্থান, সফল হবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচি। সূত্রের খবর, অ্যাপলের হয়ে আইফোন উৎপাদনকারী সংস্থা ফক্সকন তাদের তামিলনাড়ুর কারখানাটি সম্প্রসারণের জন্য ১০০ কোটি ডলার ঢালার পরিকল্পনা করেছে। তিন বছর ধরে ওই অর্থ খরচ করবে তারা। প্রায় ছ’হাজার কর্মসংস্থান হবে সেখানে। অ্যাপল ও ফক্সকন এ নিয়ে মন্তব্য করেনি। তবে গত মাসে ফক্সকনের চেয়ারম্যান লিউ ইয়ং বলেছিলেন, ভারতে লগ্নি বাড়াতে চলেছেন তাঁরা।
সূত্রের খবর, চিন-মার্কিন শুল্ক-যুদ্ধের জেরে চিনের কারখানায় আইফোন উৎপাদন সমস্যার মধ্যে রয়েছে। তা আরও বাড়িয়েছে করোনা সংক্রমণ। সব মিলিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই সে দেশ থেকে উৎপাদনের কিছুটা অংশ সরাতে চাইছিল অ্যাপল। এ নিয়ে যন্ত্রাংশ সরবরাহকারী ও উৎপাদক সংস্থাগুলির সঙ্গে কথা বলছিল তারা। তার ভিত্তিতেই তাইওয়ানের সংস্থাটির এই ভাবনা।
তামিলনাড়ুর শ্রীপেরম্বুদুরের কারখানায় আইফোন-এক্সআর তৈরি করে ফক্সকন। সেটিই সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করেছে তারা। যা বাস্তবায়ন হলে এখন চিনে আইফোনের যে সব মডেল তৈরি হয়, তার মধ্যে কয়েকটি ওই কারখানায় হবে। উল্লেখ্য, অন্ধ্রপ্রদেশেও ফক্সকনের কারখানা রয়েছে। সেখানে চিনের সংস্থা শাওমির স্মার্টফোন তৈরি হয়।
ভারতের বিক্রি হওয়া স্মার্টফোনের মাত্র ১% আইফোন। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, ভারতে আরও আইফোন উৎপাদন শুরু হলে আমদানি শুল্ক খাতে বড় খরচ বাঁচাতে পারবে অ্যাপল। এ দেশে ফোনের দাম নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। বাড়তে পারে বিক্রিও। আবার চিনের তুলনায় ভারতে মজুরির হার কম হওয়ায় খরচ কমানোরও সুযোগ থাকবে সংস্থার সামনে।