টোলবিহীন ১৯২৫ নম্বরে ফোন কিংবা এসএমএস করেই এ বার নেট সংযোগ চালু কিংবা বন্ধ করতে পারবেন গ্রাহকেরা। এই সুবিধা মিলবে ১ সেপ্টেম্বর থেকে।
মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারের সময় কী পরিমাণে ডেটা খরচ হচ্ছে, সে বিষয়ে টেলিকম সংস্থাগুলি সব সময় ঠিকমতো তথ্য দেয় না বলে অভিযোগ আসছিল টেলিকম নিয়ন্ত্রক ট্রাই-এর কাছে। আর তথ্যের অভাবে পকেট থেকে বাড়তি খরচের আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন গ্রাহকেরা। তাঁদের স্বার্থ সুরক্ষিত করতে এ বার তাই নড়েচড়ে বসল ট্রাই। নেট ব্যবহারের তথ্য দেওয়ার পাশাপাশি সেই সংযোগ চালু বা বন্ধের জন্য বিশেষ নম্বর চালু করতে টেলিকম সংস্থাগুলিকে শুক্রবার নির্দেশ দিয়েছে তারা।
মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট পরিষেবা চালু বা বন্ধের জন্য ১ সেপ্টেম্বর থেকে টেলিকম সংস্থাগুলিকে বিশেষ টোল-ফ্রি নম্বর ১৯২৫ চালুর নির্দেশ দিয়েছে ট্রাই। তাদের বক্তব্য, গ্রাহকের সম্মতি ছাড়া যেমন ওই পরিষেবা চালু করা যাবে না, তেমনই তিনি তা বন্ধ করতে চাইলেও তা দ্রুত করতে হবে। গ্রাহকদের অভিযোগ, অনেক সময় না চাইলেও সংস্থাগুলি ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করে দেয়। আবার কেউ নেট পরিষেবা বন্ধ করতে চাইলেও বাড়তি রোজগারের আশায় তা কার্যকর করতে অনেক বেশি সময় নেয় সংস্থাগুলি। ১৯২৫-এ ফোন করে কিংবা এসএমএস পাঠিয়ে পরিষেবা চালু বা বন্ধের আবেদন জানাতে পারবেন গ্রাহকেরা। তাঁর আবেদনের সঙ্গে সঙ্গেই দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে সংস্থাগুলিকে।
অন্য দিকে, ইন্টারনেট পরিষেবার জন্য সংস্থাগুলি বিশেষ ‘ডেটা প্যাক’ বিক্রি করে থাকে। অনেকে আবার সেই ‘ডেটা প্যাক’ না কিনলেও সাধারণ ভাবেই ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যবহার করেন। সে ক্ষেত্রে ‘ডেটা প্যাকে’র মাসুল হারের চেয়ে অনেক বেশি গুনতে হয় তাঁকে। কখনও কখনও তা ৫০০ গুণ বেশিও হয়। ট্রাই-এর নির্দেশ, যাঁরা ডেটা-প্যাক কেনেন- না তাঁদের সকলকে প্রতি ১০ এমবি ‘ডেটা’ ব্যবহারের পরে সতর্কতামূলক তথ্য পাঠাতে হবে টেলিকম সংস্থাকে। তবে গ্রাহক ইচ্ছে করলে সেই তথ্য না পাঠানোরও আবেদন জানাতে পারবেন সংস্থাকে।
যাঁরা বেশি ইন্টারনেট ব্যবহার করেন, তাঁরা কম মাসুলের ওই ‘ডেটা প্যাক’ কেনেন। তবে সেই ‘প্যাক’-এর সীমা নেট ব্যবহার এবং দিনের হিসেবে নির্দিষ্ট করা থাকে। সময়সীমা শেষ হলেই চড়া দরে মাসুল হার ধার্য হয়। ‘প্যাক’ অনুযায়ী নেট পরিষেবা ব্যবহারের সীমার ৫০%, ৯০% বা ১০০% তথ্য ব্যবহার হলে অথবা ১০ এমবি, ১০০ এমবি, ৫০০ এমবি তথ্য ব্যবহার হলে সেই তথ্য পাঠাতে হবে গ্রাহককে। একই ভাবে আন্তর্জাতিক ‘রোমিং’-এর ক্ষেত্রে গ্রাহক যদি না চান তা হলে পরিষেবা বন্ধের বিষয়ে তাঁকে সতর্কও করতে হবে। এই সব সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করার জন্য ১ নভেম্বর পর্যন্ত টেলিকম সংস্থাগুলিকে সময় দিয়েছে ট্রাই।