কর্পোরেট আইনেও ছোট সংস্থার সংজ্ঞা বদল করে একই ভাবে তার পরিধি ফের বাড়াল কেন্দ্র। ছবি সংগৃহীত
অতিমারির মধ্যে আরও বেশি সংস্থাকে ক্ষুদ্র-ছোট-মাঝারি শিল্পের (এমএসএমই) সুযোগ গিতে এ সংক্রান্ত আইন সংশোধন করেছিল কেন্দ্র। সে সময়ে প্রতিটি ক্ষেত্রের যোগ্যতা কিছুটা শিথিল করা হয়। এ বারে কর্পোরেট আইনেও ছোট সংস্থার সংজ্ঞা বদল করে একই ভাবে তার পরিধি ফের বাড়াল কেন্দ্র। ফলে আরও বেশি সংস্থা এই তকমা পেতে পারবে। এই শিল্পের নিয়মের বোঝা তুলনায় কম হওয়ার সুবিধা পাবে তারা। সেই সঙ্গে বেসরকারি ক্ষেত্রকে ছোট সংস্থাগুলির বকেয়া ৪৫ দিনের মধ্যে মেটাতে বলেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তাদের পুঁজির সমস্যা দূর করতেই এই বার্তা।
এত দিন কর্পোরেট আইনে কোনও সংস্থার শেয়ার মূলধন ২ কোটি টাকা এবং ব্যবসা ২০ কোটির বেশি না-হলে সেটি ছোট সংস্থা হিসেবে বিবেচিত হত। তা বেড়ে হচ্ছে যথাক্রমে ৪ কোটি ও ৪০ কোটি টাকা। যার অর্থ, আরও বেশি সংস্থা এই স্বীকৃতি পাওয়ার যোগ্য হবে। এ ছাড়াও বিভিন্ন নিয়ম বদলানো হয়েছে। কেন্দ্রের দাবি, আইন মেনে চলা সংস্থাগুলির জন্য ব্যবসার আরও সহায়ক পরিবেশ তৈরি ও বোঝা হ্রাস করতে সরকার দায়বদ্ধ।
এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ছোট-মাঝারি শিল্পের সংগঠন ফিসমের সেক্রেটারি জেনারেল অনিল ভরদ্বাজ। তিনি জানান, দেশের ৯৭ শতাংশের বেশি ছোট সংস্থা এমএসএমই আইনে নথিভুক্ত হলেও বাকিরা কর্পোরেট আইনে নথিভুক্ত। আরও বেশি সংস্থা এর স্বীকৃতি পেলে উপকৃত হবে।
এ দিন নির্মলাও ছোট শিল্পের সহযোগী পরিবেশ তৈরির উপরেই জোর দিয়েছেন। এমনিতেই করোনায় সব চেয়ে ধাক্কা খেয়েছিল এমএসএমই ক্ষেত্র। অভিযোগ উঠেছিল বহু ক্ষেত্রেই তাদের পাওনা দীর্ঘদিন ধরে বাকি থাকে। শুক্রবার মুম্বইয়ে সভায় তা ৪৫ দিনের মধ্যে মিটিয়ে দিতে বেসরকারি ক্ষেত্রকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। কেন্দ্র ও রাজ্যের অধীনে থাকা সংস্থাগুলিও যে এমএসএমই-র বকেয়া ঠিক সময়ে মেটায় না, বলেছেন সে কথাও।