মুকেশ অম্বানী ও অনিল অম্বানী। —ফাইল চিত্র।
মঙ্গলবারের মধ্যে সহযোগী সংস্থা এরিকসনের বকেয়া না মেটালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মতো জেলে যেতে হত রিলায়্যান্স কমিউনিকেশনের (আর-কম) কর্ণধার অনিল অম্বানীকে। ঠিক এক দিন আগে, সোমবারই এরিকসনের মোট বকেয়া ৫৫০ কোটি টাকা মিটিয়ে দিল আর-কম। রাতে অনিল নিজেই বিবৃতিতে সে কথা জানালেন। আর ঋণ মেটাতে ‘সময়োপযোগী সাহায্য’ করার জন্য ধন্যবাদ দিলেন বড় ভাই মুকেশ ও তাঁর স্ত্রী নীতা অম্বানীকে।
যদিও এ দিনই আবার মুকেশের সংস্থা রিলায়্যান্স জিয়োকে স্পেকট্রাম-সহ আর-কমের বিভিন্ন সম্পদ বিক্রির উদ্দেশ্যে করা চুক্তি বাতিল হয়েছে। আর-কম জানিয়েছে, দুই সংস্থার সম্মতিতেই তা খারিজ করা হয়েছে।
বিপুল ধার মেটাতে জিয়োকে ওই সম্পদ বিক্রির পরিকল্পনা ছিল আর-কমের। এ জন্য ২০১৭ সালে চুক্তি করেছিল তারা। কিন্তু এরই মধ্যে এরিকসন ৫৫০ কোটি টাকারও বেশি বকেয়া মেটানোর দাবি তোলে। এর জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। জিয়োকে তাদের সম্পদ বিক্রির প্রক্রিয়াও স্থগিত থাকে।
শেষ পর্যন্ত গত মাসে নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করে জাতীয় কোম্পানি আইন ট্রাইবুনালে (এনসিএলটি) যাওয়ার কথা জানায় আর-কম। তার পরেই এরিকসনের দাবির ভিত্তিতে শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, দু’বার নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও আর-কমের টাকা শোধ না করা আদালত অবমাননার শামিল। ১৯ মার্চের মধ্যে তা শোধ না করলে অনিল অম্বানীকে তিন মাসের জন্য জেলে যেতে হবে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
সূত্রের খবর, সেই নির্দেশ মেনেই এ দিন এরিকসনকে বকেয়া ৪৫৮.৭৭ কোটি টাকা মিটিয়ে দিয়েছে রিলায়্যান্স কমিউনিকেশন্স। এরিকসনের মুখপাত্রও এ দিন সুদ-সহ পুরো ৫৫০ কোটি টাকার বকেয়া অর্থ পাওয়ার কথা জানিয়েছেন।
তবে আর-কম কোন তহবিল থেকে এই টাকা মেটাল, তা নিয়ে এ দিন জল্পনা ছিল। রাতে অনিলও তা পুরোপুরি স্পষ্ট করেননি। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে মুকেশ ও নীতাকে এই কঠিন সময় তাঁর পরিবারের পাশে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
প্রশ্ন উঠছে, তা হলে কি মুকেশ ভাইয়ের জেল-যাত্রা রুখতে আর্থিক ভাবে তাঁকে কোনও সাহায্য করেছেন? অনিলের ওই ইঙ্গিত ছাড়া অবশ্য আর কিছুই এ দিন স্পষ্ট হয়নি।
এনসিএলটি-তেই ঋণের সমস্যা মেটানোর কথা এ দিন জানিয়েছে আর-কম। আগামী ৮ এপ্রিল পরবর্তী শুনানি হওয়ার কথা।