নতুন নিয়ম অনুসারে, এক তারা রেটিং থাকা ফ্যানে ন্যূনতম ৩০% বিদ্যুৎ বাঁচার কথা। পাঁচ তারা রেটিংয়ের ক্ষেত্রে সাশ্রয় হবে ৫০%। ফাইল ছবি।
চলতি বছর থেকে সিলিং ফ্যানে বিদ্যুৎ সাশ্রয়কারী মূল্যায়ন বা স্টার রেটিং বসানোর নতুন নিয়ম চালু হয়েছে। যা মেনে ফ্যান তৈরি করতে গেলে দাম ২০% পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে শিল্পমহল। সম্প্রতি নতুন এই মাপকাঠি আনার কথা জানিয়েছিল ব্যুরো অব এনার্জি এফিশিয়েন্সি। সেই অনুসারে, এক তারা রেটিং থাকা ফ্যানে ন্যূনতম ৩০% বিদ্যুৎ বাঁচার কথা। পাঁচ তারা রেটিংয়ের ক্ষেত্রে সাশ্রয় হবে ৫০%।
নতুন নিয়মকে স্বাগত জানিয়েছে হ্যাভেলস, ওরিয়েন্ট ইলেকট্রিক বা উষা ইন্টারন্যাশনালের মতো ফ্যান সংস্থা। তবে তাদের দাবি, পাঁচ তারা রেটিংয়ের জন্য যে ধরনের মোটর বা অন্যান্য যন্ত্রাংশ লাগে, তা আমদানি করতে হবে। সেই কারণে ফ্যান তৈরির খরচ বাড়তে পারে ৫%-২০%। এমনিতেই জিনিসের চড়া দামের মধ্যে ফ্যানের দরও বাড়লে, তা সাধারণ মানুষকে বাড়তি চাপে ফেলতে পারে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। বিশেষত, আর মাস তিনেকের মধ্যেই যেখানে দেশে গ্রীষ্মকাল শুরু হচ্ছে।
ওরিয়েন্ট ইলেকট্রিকের এমডি-সিইও রাকেশ খন্নার বক্তব্য, এতে ক্রেতারা উন্নত পণ্য পাবেন ঠিকই, কিন্তু খরচ বাড়বে ফ্যান তৈরির। সংস্থা বাড়তি খরচের যতটা সম্ভব নিজেরা বহন করার চেষ্টা করছে দাবি করে তিনি জানান, তা সত্ত্বেও ৭%-৮% দর বৃদ্ধি আটকানো মুশকিল। একই কথা জানান উষার কর্তা দীনেশ ছাবরাও। উল্লেখ্য, দেশে ফ্যানের বাজার প্রায় ১০,০০০ কোটি টাকার। শিল্পের হিসাব, গৃহস্থ বাড়িতে মোট যত বিদ্যুৎ খরচ হয়, তার ২০% যায় ফ্যানে।