অমিত মিত্র।
গত পাঁচ বছরে বিভিন্ন ছোট উদ্যোগে রাজ্যের সমবায় ব্যাঙ্কগুলি প্রায় ৩৬,০০০ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে বলে দাবি করলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। তাঁর বক্তব্য, সেই ঋণ খাতে অনুৎপাদক সম্পদ যৎসামান্য।
রাজ্যের সমবায় দফতরের উদ্যোগে শুক্রবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছে সমবায় মেলা। তার উদ্বোধনে এসে শিল্প তথা অর্থমন্ত্রী জানান, রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রান্তিক মানুষ, কৃষক, শ্রমিক ও যাঁরা নিজেদের উদ্যোগে কিছু করতে চান, তাঁরাই ঋণ পেয়েছেন সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে। সেই ধার তাঁরা শোধও করে দিচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য জুড়ে সমবায় ভিত্তিক ব্যাঙ্কিং পরিষেবাকে আরও ছড়ানোয় জোর দেন তিনি। সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায় জানান, প্রত্যন্ত অঞ্চলে গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্র চালু করে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে ৭০০-রও বেশি কেন্দ্র কাজ শুরু করেছে।
রাজ্য সমবায় ব্যাঙ্কগুলির গুরুত্ব যে ক্রমশ বাড়ছে, তা বোঝাতে গিয়ে সরকারের ‘কৃষক বন্ধু’ প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেন অমিতবাবু। তাঁর দাবি, ২০১৮ সালে সমবায় ব্যাঙ্কগুলির মাধ্যমে ৩৯ লক্ষ কৃষক এবং ভাগ চাষি ওই প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন। ৬০০ কোটি টাকা বণ্টন করা হয়েছে তাঁদের মধ্যে। ২০১৯ সালে এখনও পর্যন্ত ২৭.৪৩ লক্ষের মধ্যে বণ্টন করা হয়েছে ৪৩০ কোটির আর্থিক সাহায্য।
অর্থমন্ত্রী জানান, মুখ্যমন্ত্রীর লক্ষ্য গ্রামের প্রান্তিক মানুষদের ব্যাঙ্কিং পরিষেবার আওতায় আনা। তা
বাস্তবায়িত করতে পঞ্চায়েত অফিসের মধ্যে ব্যাঙ্কগুলিকে ৪০০ বর্গফুট করে জায়গা দেওয়ার নতুন প্রকল্পের কথা ভেবেছে রাজ্য। যাতে ব্যাঙ্কগুলির শাখা খুলতে বাড়তি খরচ না হয়।