Amit Mitra

জিএসটি হয়রানি বাড়াচ্ছে, কেন্দ্রকে দুষলেন অমিত মিত্র

পাঁচ বছরে জিএসটি আইনের ৬৫টি বিভাগে ১২৯টি বিধি সংশোধিত হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে ৭৪১টি। মোট ফর্মের সংখ্যা ১৭৮। তাঁর কটাক্ষ, অসংগঠিত সংস্থাকে সংগঠিত করার কথা বলে মোদী সরকার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২৩ ০৬:১৫
Share:

অমিত মিত্র। ফাইল ছবি।

মোদী সরকার দাবি করে, দেশে ব্যবসার পরিবেশ সহজ হয়েছে তাদের জমানায়। শুক্রবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর এবং অর্থ বিভাগের মুখ্য উপদেষ্টা অমিত মিত্রের তোপ, আদতে হয়েছে উল্টোটা। জিএসটি এনে কেন্দ্র ব্যবসার পথকে কঠিন করে দিয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘ব্যবসার পরিবেশ সহজ করার দাবি জিএসটির ক্ষেত্রে কার্যত গল্পকথা। এই আইন মানতে গিয়ে এতটাই হয়রানি হচ্ছে যে, বহু সংস্থা জিএসটির নথিভুক্তি বাতিল করে সংগঠিত থেকে অসংগঠিত ক্ষেত্রে সরে যাচ্ছে।’’ অমিতবাবুর দাবি, কর হয়তো আদায় হবে। কিন্তু অবিলম্বে ব্যবস্থাটির ত্রুটিগুলি না শোধরালে মুছে যাবে বহু ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি সংস্থা।

Advertisement

জিএসটি নিয়ে ওয়েস্ট বেঙ্গল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব জুরিডিকাল সায়েন্সেস এবং অল ইন্ডিয়া ফেডারেশন অব ট্যাক্স প্র্যাক্টিশনার্সের (পূর্বাঞ্চল) আয়োজিত সভায় রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর আক্ষেপ, ‘‘ভারতে একমাত্র যুক্তরাষ্ট্রীয় বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন কর্তৃপক্ষ জিএসটি পরিষদ। রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলে ৩১ জন প্রতিনিধি। কিন্তু পরিষদ তার বৈশিষ্ট্য হারাচ্ছে। জিএসটি আসার পরে তিন বছর সব সিদ্ধান্তই নেওয়া হত ঐকমত্যের ভিত্তিতে। এখন সংখ্যাগরিষ্ঠের সিদ্ধান্ত সকলের উপরে চাপানো হয়।’’

এ দিন অমিতবাবুর দাবি, ভাল করে প্রস্তুতি না নিয়ে যাতে জিএসটি চালু করা না হয়, সে ব্যাপারে সতর্ক করেছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। কিন্তু তাতে কান না দিয়ে তড়িঘড়ি তা আনে কেন্দ্র। ফলে ব্যবস্থাটি এতটাই অগোছালো যে জালিয়াতি করে শুধু কেন্দ্রীয় জিএসটিতেই ১.২৫ লক্ষ কোটি টাকার বেশি পকেটে পুরেছে বহু অসাধু ব্যবসায়ী। দিনের পর দিন প্রতারণা করে আগে মেটানো করের টাকা ফেরতের (ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট) সুবিধা নিয়েছে একাংশ। করদাতাদের ওই টাকার ক্ষতিপূরণ কে দেবে, প্রশ্ন তাঁর। অমিতবাবু জানিয়েছেন, পাঁচ বছরে জিএসটি আইনের ৬৫টি বিভাগে ১২৯টি বিধি সংশোধিত হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে ৭৪১টি। মোট ফর্মের সংখ্যা ১৭৮। তাঁর কটাক্ষ, অসংগঠিত সংস্থাকে সংগঠিত করার কথা বলে মোদী সরকার। কিন্তু পণ্য লেনদেন এবং করের হিসাব দেওয়ার ক্ষেত্রে জটিল এবং খরচসাপেক্ষ জিএসটির ধাক্কায় হয়েছে উল্টোটা। ব্যবস্থাটিকে সফল ও শিল্পের উপযোগী করতে অমিতবাবুর পরামর্শ— এক, রিটার্ন জমা দেওয়া-সহ বিভিন্ন নিয়ম সরল হোক। জিএসটি পরিষদে সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক সকলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে। তিন, করের হার বদলানো হোক দেশের দারিদ্র এবং আর্থিক বৈষম্যের বাস্তবতাকে সামনে রেখে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement