ফাইল চিত্র।
বাজেটে দু’টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক এবং একটি বিমা সংস্থার বিলগ্নিকরণের কথা ঘোষণা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সূত্রের খবর, সেই লক্ষ্যে সাধারণ বিমা ব্যবসা (জাতীয়করণ) আইনের সংশোধনী আনার কাজ করছে সরকার। আসন্ন বাদল অধিবেশনেই সংসদে তা পেশ করা হতে পারে। ব্যাঙ্ক বিলগ্নির জন্য ব্যাঙ্কিং নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৪৯-ও সংশোধন করতে নেমেছে তারা। পাশাপাশি, বাজারে জীবন বিমা নিগমের (এলআইসি) প্রথমবার শেয়ার ছাড়ার (আইপিও) প্রক্রিয়া পরিচালনা করতে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই মার্চেন্ট ব্যাঙ্কার নিয়োগ করতে পারে কেন্দ্র।
চলতি অর্থবর্ষে বিলগ্নিকরণ থেকে ১.৭৫ লক্ষ কোটি টাকা তোলার লক্ষ্য নিয়েছে মোদী সরকার। যার অনেকটাই আসার কথা এলআইসি-র আইপিও এবং ব্যাঙ্ক ও বিমা সংস্থার শেয়ার বেচে। সেই সঙ্গে ভারত পেট্রোলিয়াম (বিপিসিএল) এবং আইডিবিআই ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণের মাধ্যমে টাকা তোলার পরিকল্পনা করেছে সরকার। সম্প্রতি মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা কৃষ্ণমূর্তি সুব্রহ্মণ্যনের দাবি ছিল, ইতিমধ্যেই বিলগ্নিকরণ নিয়ে অনেক কাজ চলছে, এখনও বেশ কিছু কাজ বাকি। তবে সব মিলিয়ে এ বছরটা বিলগ্নিকরণের বছর হিসেবেই মনে থাকবে।
সূত্রের খবর, সেই পরিকল্পনার অঙ্গ হিসেবেই সাধারণ বিমা আইনের সংশোধনী তৈরি করেছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই নীতি আয়োগ সচিবদের গোষ্ঠীর কাছে বিলগ্নিকরণের জন্য ইউনাইটেড ইন্ডিয়া ইনশিয়োরেন্সের নাম সুপারিশ করেছে বলেও খবর। উল্লেখ্য, এই আইনের হাত ধরে ভারতীয় বিমা সংস্থার শেয়ার হাতে নেওয়া ও লেনদেন সম্পূর্ণ করতে পারে সরকার।
এ দিকে, গত জানুয়ারিতে এলআইসি-র শেয়ার ছাড়ার আগে তার মূল্যায়ন খতিয়ে দেখতে মিলিম্যান অ্যাভাইজ়র্স ইন্ডিয়াকে নিয়োগ করেছিল কেন্দ্র। সূত্র জানাচ্ছে, এ জন্য বাজেটে এলআইসি আইনে আনা সংশোধনী নিয়ে ইতিমধ্যেই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। সপ্তাহ দু’য়েকের মধ্যে ওই সংস্থাটি মূল্যায়ন খতিয়ে দেখবে। তার পরে মার্চেন্ট ব্যাঙ্কার নিয়োগ হতে পারে। নভেম্বরের মধ্যে নিয়ন্ত্রকের সায় মিলবে বলে সরকারের আশা। প্রসঙ্গত, এলআইসি-র বাজারে ছাড়া শেয়ারের ১০% রাখা থাকবে পলিসিহোল্ডারদের জন্য।