Ambuja

অম্বুজার বিনিয়োগ ৮০০ কোটি টাকা, তাজের সঙ্গে জোট

দার্জিলিঙের মকাইবাড়ি চা বাগান এলাকায় এবং সিকিমের গ্যাংটকে দু’টি হোটেল পরিচালনার জন্য অম্বুজা নেওটিয়া গোষ্ঠীর হাত আগেই ধরেছিল আইএইচসিএল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২০ ০৪:১৩
Share:

—ছবি সংগৃহীত

কলকাতা ও পটনায় অম্বুজা নেওটিয়া গোষ্ঠীর তিনটি প্রকল্পের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধল ইন্ডিয়া হোটেলস কোম্পানির (আইএইচসিএল) তাজ হোটেল। অম্বুজাদের বছর তিনেক আগের দু’টি প্রকল্পেও সঙ্গী তারা। সব মিলিয়ে ওই পাঁচ প্রকল্পে অম্বুজারা লগ্নি করছে ৮০০ কোটি টাকা। তাজ ব্র্যান্ডের আওতায় সেগুলি পরিচালনার দায়িত্ব আইএইচসিএলের।

Advertisement

দার্জিলিঙের মকাইবাড়ি চা বাগান এলাকায় এবং সিকিমের গ্যাংটকে দু’টি হোটেল পরিচালনার জন্য অম্বুজা নেওটিয়া গোষ্ঠীর হাত আগেই ধরেছিল আইএইচসিএল। শুক্রবার গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান হর্ষ নেওটিয়া এবং আইএইচসিএলের এমডি-সিইও পুনীত ছাটোয়াল আরও তিনটি হোটেলের পরিচালনার চুক্তির কথা জানান। সব মিলিয়ে নতুন ৫০০টি ঘর তৈরি হবে সেখানে। হর্ষ জানান, হোটেলগুলি তৈরিতে ৮০০ কোটি টাকার মধ্যে ৫০০ কোটি ইতিমধ্যেই খরচ হয়েছে। লগ্নি হচ্ছে কিছুটা নিজস্ব তহবিল দিয়ে ও কিছুটা ধার করে।

এর মধ্যে অন্যতম রাজারহাটের সিটি সেন্টারে পূর্বতন সুইসোটেল। অম্বুজার সঙ্গে চুক্তি শেষের পরে সেটি বন্ধ ছিল। ওই প্রকল্পে এ বার যুক্ত হচ্ছে তাজ ব্র্যান্ড। পুনীতের ইঙ্গিত, কলকাতার দক্ষিণে তাজ হোটেল থাকলেও, বিমানবন্দরের কাছাকাছি উপস্থিতি যে ব্যবসায়িক ভাবে বেশি লাভজনক, সেটা বুঝেই এই পদক্ষেপ। ইকো পার্কে অম্বুজাদের নতুন হোটেল পরিচালনার ভার নেওয়ার কারণও সেটা। সঙ্গে আছে পূর্বাঞ্চলে হোটেলের বাজারের গুরুত্ব।

Advertisement

করোনা হোটেল-সহ আতিথেয়তা ব্যবসায় জোর ধাক্কা দিয়েছে। তবে হর্ষ ও পুনীত আশাবাদী। হর্ষের মতে, ব্যবসায়িক বৈঠক এখন অনলাইনে হলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সব ক্ষেত্রে যেমন তা চলবে না, তেমনই পর্যটন ও সামাজিক অনুষ্ঠানে হোটেলের চাহিদাও থাকবে অটুট। তবে পুনীতের সতর্কবার্তা, নতুন করে লকডাউন না-হলে চাকা ঘুরবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement