ফিউচারের সঙ্গে মুকেশ অম্বানীর রিলায়্যান্স রিটেল ভেঞ্চার্সের চুক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেছে অ্যামাজন। ফাইল চিত্র।
অ্যামাজন বনাম ফিউচার কুপনস প্রাইভেট লিমিটেড মামলায় এক বিচারপতি বেঞ্চের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিল দিল্লি হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। গত সপ্তাহে হাইকোর্টের বিচারপতি জে আর মৃধার তরফে ফিউচার কর্ণধার কিশোর বিয়ানি-সহ ১০ বিনিয়োগকারীর সম্পত্তির একাংশ বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সোমবার দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি এন পটেলের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ সেই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে।
এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৩০ এপ্রিল। দিল্লি হাইকোর্টের এই নির্দেশ অ্যামাজন-ফিউচার মামলার ক্ষেত্রে নতুন মোড় বলে মনে করা হচ্ছে। বিয়ানির সংস্থা ফিউচার রিটেল লিমিটেড (এফআরএল)-এর সঙ্গে মুকেশ অম্বানীর রিলায়্যান্স রিটেল ভেঞ্চার্স (আরআরভিএল)-এর খুচরো, পাইকারি, গুদাম ও পণ্য পরিবহণ ব্যবসা বিক্রি করা নিয়ে ২৪,৭১৩ কোটি টাকার চুক্তি হয়েছিল। যার বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয় আমেরিকার ই-কমার্স সংক্রান্ত সংস্থা অ্যামাজন।
ফিউচার রিটেলের ৭.৩ শতাংশের অংশীদারিত্ব রয়েছে ফিউচার কুপনসের কাছে। অ্যামাজনের দাবি, ফিউচার কুপনসের ৪৯ শতাংশ অংশীদারি কেনার বিষয়ে তাদের সঙ্গে আগে চুক্তি হয়। ফিউচার-রিলায়্যান্স চুক্তিতে ছাড়পত্র (এনওসি) না-দেওয়ার জন্য বাজার নিয়ামক সংস্থা ‘সেবি’-র কাছেও আবেদন জানিয়েছিল অ্যামাজন। গত ডিসেম্বরে দিল্লি হাইকোর্টের এক বিচারপতির বেঞ্চ চুক্তির উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে অ্যামাজনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল।
ফিউচার-রিলায়্যান্স চুক্তিতে অ্যামাজনের সম্মতি অপরিহার্য নয় বলেও এক বিচারপতির বেঞ্চ তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিল। কিন্তু মামলা এখনও বিচারাধীন। সিঙ্গাপুরের সালিশি আদালত এ সংক্রান্ত মামলায় অ্যামাজনের পক্ষ রায় ঘোষণা করেছে। জানিয়েছে, চূড়ান্ত আইনি ফয়সালা না হওয়া পর্যন্ত ফিউচার তাদের ব্যবসার কোনও অংশ অম্বানীদের বিক্র করতে পারবে না। এই পরিস্থিতিতে গত ১৮ মার্চ বিচারপতি মৃধার বেঞ্চ বিধি ভেঙে রিলায়্যান্সের সঙ্গে চুক্তির জন্য বিয়ানি এবং সহ-অংশীদারদের ২০ লক্ষ টাকা প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যার উপর সোমবার উচ্চতর বেঞ্চ স্থগিতাদেশ জারি করেছে।