ফেব্রুয়ারিতে শোরুম থেকে বিভিন্ন ধরনের গাড়ি বিক্রি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে। প্রতীকী ছবি।
আশা-আশঙ্কার দোলাচল থেকে বার হতে পারছে না দেশের গাড়ি ব্যবসা!
ক্রেতাদের যাঁরা সরাসরি গাড়ি বিক্রি করেন সেই ডিলারদের সংগঠন ফাডা জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারিতে শোরুম থেকে বিভিন্ন ধরনের গাড়ি বিক্রি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে। কিন্তু কোনও কোনও ক্ষেত্রে তা এখনও করোনার আগের জায়গায় পৌঁছতে পারেনি। বিশেষত দু’চাকার বিক্রি সেই সময়ের চেয়ে অনেক কম। দু’চাকার বাজারকে গ্রামীণ অর্থনীতির অন্যতম মাপকাঠি বলে ধরা হয়। বিক্রি কমায় সেই অর্থনীতি নিয়ে উদ্বেগ বেড়ে চলেছে। যে বার্তা এর আগেও একাধিক বার দিয়েছে সংগঠনটি।
সোমবার ফাডার প্রেসিডেন্ট মণীশ রাজ সিঙ্ঘানিয়া জানান, গত বছরের ফেব্রুয়ারির চেয়ে এ বার দেশে সার্বিক গাড়ি বিক্রি ১৬% বেড়েছে। যাত্রিগাড়ি (১১%), দু’চাকা (১৫%), তিন চাকা (৮১%) ও বাণিজ্যিক গাড়ির (১৭%) বিক্রিও গত বছরের চেয়ে বেশি। কিন্তু ছবিটা বদলাচ্ছে ২০২০ সালের এই সময়ের হিসাবের দিকে তাকালে। দেখা যাচ্ছে, সার্বিক গাড়ি বিক্রি সেই সময়ের তুলনায় এখনও ৮% কম। আর দু’চাকার বিক্রি প্রায় ১৪% পিছিয়ে।
ফাডার বক্তব্য, মার্চে হোলি, নবরাত্রি-সহ বিভিন্ন উৎসব রয়েছে। তা ছাড়া এটি অর্থবর্ষের শেষ মাস। এগুলি গাড়ি বিক্রিতে গতি আনতে সাহায্য করবে। তবে একই সঙ্গে ফাডার ব্যাখ্যা, কেন্দ্র বলেছে, শহরের অর্থনীতির যে গতিতে পুনরুজ্জীবন ঘটছে, গ্রামাঞ্চল সেই তুলনায় পিছিয়ে। মূল্যবৃদ্ধির চাপে গত দু’বছরে সব চেয়ে নীচে নেমেছে ব্যক্তিগত কেনাকাটা। করোনার পরে জমে থাকা চাহিদাও ম্লান হচ্ছে। অর্থ মন্ত্রক জানিয়েছে, দুর্বল বর্ষার মুখ দেখতে পারে দেশ। সে ক্ষেত্রে উৎপাদন হ্রাস ও মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। ফলে ধাক্কা খেতে পারে বিক্রি।
তবে আগামী অর্থবর্ষে দেশে ও বিদেশে ব্যবসা নিয়ে আশাবাদী গাড়ির যন্ত্রাংশ শিল্পের সংগঠন অ্যাকমা। তাদের ডিজি বিন্নি মেহতার আশা, ১০%-১৫% ব্যবসা বৃদ্ধি হবে।