বৈদ্যুতিক গাড়ির বিক্রি বাড়ছে। ফাইল ছবি।
জ্বালানির আমদানি খরচ ও দূষণ কমাতে কেন্দ্র বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহারে জোর দিলেও এখনও তার সহায়ক পরিবেশ ও পরিকাঠামো তৈরি হয়নি বলে অভিযোগ। তবে তার মধ্যেই বৈদ্যুতিক গাড়ির বিক্রি বাড়ছে। দেশের গাড়ি বাজারে ধাপে ধাপে মাথা তুলছে তার অংশীদারিও। শোরুম থেকে গাড়ি বিক্রেতাদের (ডিলার) সংগঠন ফাডার দেওয়া তথ্যে সেই ছবিই স্পষ্ট হয়েছে।
সরকারি পরিসংখ্যানকে উদ্ধৃত করে ফাডা জানিয়েছে, গত বছরের মার্চের তুলনায় এ বারের মার্চে দেশে যাত্রিবাহী বৈদ্যুতিক গাড়ির বিক্রি বেড়েছে ১৩০ শতাংশেরও বেশি (৮৫৬৬টি)। এই ফেব্রুয়ারির নিরিখেও গত মাসে বিক্রি বেড়েছে প্রায় ৮৮%। সংগঠনটির বক্তব্য, এমনিতে দেশের যাত্রিগাড়ির বাজারে বৈদ্যুতিকের ভাগ কম। তা সত্ত্বেও চাহিদা বৃদ্ধির হাত ধরে তার অংশীদারি বাড়ছে। ২০২২ সালের মার্চে যাত্রিগাড়ির বাজারে ১.৩% ছিল বৈদ্যুতিকের দখলে। গত ফেব্রুয়ারি ও মার্চে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১.৬% ও ২.৬%। গত মাসে এমন গাড়ি সবচেয়ে বেশি বিক্রি করেছে টাটা মোটরস, ৭০০০-এরও বেশি।
ফাডা আরও জানাচ্ছে, চাহিদা বাড়ছে বৈদ্যুতিক দু’চাকারও। তার অংশীদারি গত বছরের মার্চের ৪.২% থেকে গত মাসে বেড়ে হয়েছে ৫.৯%। এক বছরে বিক্রি বেড়েছে প্রায় ৫৮%। ফেব্রুয়ারিতে ছিল ৫.২%। এই বাজারে পুরনো বহু সংস্থাকে পিছনে ফেলে উঠে এসেছে ওলা, এথারের মতো নতুন সংস্থা। গত মাসে বাজারে তাদের স্থান ছিল যথাক্রমে প্রথম ও তৃতীয়। তবে বৈদ্যুতিক গাড়ির মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাহিদা তিন চাকার। বিক্রি হওয়া মোট তিন চাকার গাড়ির ৫২% ছিল বৈদ্যুতিকের। বিক্রির তালিকায় শীর্ষে মহিন্দ্রা অ্যান্ড মহিন্দ্রা।
গণপরিবহণেও বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহারে জোর দিতে কেন্দ্র ও বিভিন্ন রাজ্য এমন বাস চালুর পরিকল্পনা করেছে। যদিও তার অংশীদারি নামমাত্র। গত মাসে তা ছিল ০.৩৮%। তবে এক বছর আগে তা ছিল আরও কম, ০.১৫%। গাড়ি শিল্পের ব্যাখ্যা, অতএব উন্নতি হচ্ছে এখানেও।