প্রতীকী ছবি।
পুনরুজ্জীবন প্রকল্পে কেন্দ্রের সিলমোহর পড়লেও লাভের শর্ত পূরণ করতে না-পারায় বেতন সংশোধন হয়নি বিএসএনএলে। আর সেই গেরোয় আটকে ২ লক্ষেরও বেশি অবসরপ্রাপ্তদের পেনশন সংশোধনও। অল ইন্ডিয়া রিটায়ার্ড বিএসএনএল এক্স-ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, সম্প্রতি বিভিন্ন ইউনিয়নের সঙ্গে বৈঠকে টেলিকম সচিব অংশু প্রকাশ জানান, কর্মরতদের বেতন সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত পেনশন সংশোধন সম্ভব নয়। অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, এ নিয়ে আদালতে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই।
২০০০ সালে বিএসএনএল গঠনের সময় টেলিকম দফতর (ডট) থেকে প্রায় চার লক্ষ কর্মী-আধিকারিক সংস্থায় যোগ দেন। এর পরে সংস্থাটি সরাসরি আরও কিছু নিয়োগ করেছিল। অবসরপ্রাপ্তদের সংগঠনটির ডেপুটি জেনারেল সেক্রেটারি অমিত গুপ্ত জানান, অবসরের পরে তাঁরা সরকারি পেনশন প্রকল্প অনুযায়ী সরকারি তহবিল থেকেই পেনশন পাবেন বলে লিখিত আশ্বাস দেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে প্রায় ২ লক্ষ এখন অবসরপ্রাপ্ত। কর্মরতদের বেতনের মতো তাঁদেরও ১০ বছর অন্তর পেনশন সংশোধন হওয়ার কথা। সেই হিসেবে, ২০১৭ সালে দু’টিই হওয়ার কথা থাকলেও, কিছু হয়নি বলে তাঁর অভিযোগ।
লাভের শর্ত পূরণ না-হওয়ায় কর্মীদের বেতন সংশোধন সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন সংস্থার সিএমডি পি কে পুরওয়ার। আবার ডটের দাবি, তা না-হওয়া পর্যন্ত অবসরপ্রাপ্তদের পেনশন সংশোধনও সম্ভব নয়।
অমিতবাবুর দাবি, অন্য সরকারি দফতরে ২০১৬ সাল থেকে সংশোধিত পেনশন চালু হলেও তাঁরা পেনশন পাচ্ছেন পুরনো হারেই। অথচ তাঁরাও পেনশন সংশোধনের সুবিধা পাবেন বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। নিয়ম অনুযায়ী, কর্মরতদের পেনশন তহবিলে যে অংশ দিতে হয়, তা ভবিষ্যতের বর্ধিত পেনশনের হিসেব ধরেই তাঁরা
ইতিমধ্যেই ডটের কাছে জমা দিয়েছেন। কিন্তু টাকা মিলছে তার চেয়ে কম হারে। তিনি বলেন, ‘‘এখন এ নিয়ে আদালতে যাওয়া ছাড়া উপায় কী?’’ একই সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্র ন্যূনতম পেনশন মাসে ন’হাজার টাকা করলেও সংশোধন না-হওয়ায় তাঁদের একাংশ প্রায় অর্ধেক পাচ্ছেন।