প্রতীকী ছবি।
করোনায় সব থেকে বেশি বিপর্যস্ত যারা, তাদের মধ্যে অন্যতম বিমান শিল্প। আনলক পর্বে দেশে কিছু উড়ান চালু হয়েছে বটে, তবে ব্যবসা এখনও তলানিতে। যার কারণ, বাড়তে থাকা সংক্রমণের জেরে এখনও বেশির ভাগ মানুষের ঘরবন্দি অবস্থা। এর মধ্যেই বিমান সংস্থাগুলির উদ্বেগ আরও বাড়াচ্ছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের (এএআই) কাছে বিপুল টাকা বাকি পড়া। তার উপর কিছু সংস্থাকে ধারের সুবিধা না-দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছে এএআই। বলা হয়েছে, এ বার বিমানবন্দরের পরিষেবা ব্যবহার করতে হলে নগদ টাকা দিতেই হবে।
দেশে দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ ছাড়া বাকি প্রায় শতাধিক বিমানবন্দরের মালিক এএআই। যার মধ্যে আছে কলকাতা ও চেন্নাইও। এই সব বিমানবন্দরে নামতে এএআই-কে ল্যান্ডিং ফি দিতে হয় সংস্থাগুলিকে। বিমান দাঁড় করাতে লাগে পার্কিং ফি। আছে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের পরিষেবা ফি, অফিস ভাড়া ইত্যাদি।
হিসেব বলছে, গত ফেব্রুয়ারিতে সংস্থাগুলির যে বকেয়া ছিল, তা অগস্টে অনেকটা বেড়েছে। যা শোধের জন্য চাপ দিতে শুরু করেছে এএআই। সংবাদ সংস্থার খবর, সব থেকে বেশি প্রায় ২০০০ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত এয়ার ইন্ডিয়ার কাছে। ইন্ডিগোর বকেয়া ৯৫ কোটি, স্পাইসজেটের ১৩২ কোটি, এয়ার এশিয়া ইন্ডিয়ার ১৮ কোটি এবং গো এয়ারের ৫২ কোটি। বিস্তারাই একমাত্র সংস্থা, যাদের বকেয়া ফেব্রুয়ারির চেয়ে অগস্টে কমে হয়েছে ৪ কোটি।