Sneezing

হাঁচলেই বিপদ, সতর্ক বিমান সংস্থা

Advertisement

সুনন্দ ঘোষ

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০২০ ০৩:৪৯
Share:

যাত্রীর হাঁচিও এখন আতঙ্কের কারণ। তার উপরে সেটা মাঝ-আকাশে হলে আতঙ্ক বাড়ে বই কমে না। করোনাভাইরাস সংক্রমণের দুনিয়া জোড়া কাঁপুনির মধ্যে তাই ভারতে জীবাণুর ছড়িয়ে পড়া রুখতে এল নির্দেশ— মাঝ আকাশে যাত্রী যদি হাঁচেনও, নামার পরে বিমানের অংশবিশেষ জীবাণুমুক্ত করতে হবে।

Advertisement

সম্প্রতি জারি হওয়া এয়ার ইন্ডিয়ার এই নির্দেশিকায় অবশ্য সরাসরি হাঁচির কথা নেই। বলা আছে, ‘শ্বাস সংক্রান্ত সংক্রমণ’। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, কারও পরপর কয়েকবার হাঁচিও এমন সংক্রমণের লক্ষণ।

নির্দেশিকা অনুযায়ী, যাত্রীর হাঁচি বিমানসেবিকাদের নজরে এলে তিনি কোন সারিতে, কোন আসনে বসেছেন, তা জানাতে হবে। বিমান থেকে যাত্রীরা নামলে ওই সারির সব আসন, সামনের ও পিছনের তিনটি করে সারিকে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। তা-ও আবার ৭০% অ্যালকোহলযুক্ত তরল দিয়ে। কোনও যাত্রীর দেহে করোনার লক্ষণ দেখা গেলে ওই তরল দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে গোটা বিমানকেই। সংশ্লিষ্ট মহলের অবশ্য আশঙ্কা, এতে উড়ান ছাড়তে অনেক দেরি হতে পারে।

Advertisement

এত দিন বিমান থেকে যাত্রীরা নামলেই তড়িঘড়ি সেটি পরিষ্কার করে ফের গন্তব্যে রওনা দেওয়ার জন্য তৈরি করা হত। তারপরেই তুলে দেওয়া হত যাত্রীদের। কিন্তু বিমান মন্ত্রকের নির্দেশ, এ বার বিমান থেকে নামা যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পরেই ফের ওই বিমানে যাত্রী তোলা যাবে। ফলে এত দিন বিমান নামার পরে বড়জোর ৪০-৫০ মিনিটের মধ্যে ফের উড়ত। আশঙ্কা, এ বার সময়টা অনেক বাড়বে। উড়ান ছাড়তে দেরি হবে। এত দিন একটি বিমান দিনে গড়ে ৫-৬টি শহরে যেত। কিন্তু অপেক্ষার সময় বাড়লে কম শহরে যেতে পারবে সেটি। উড়ান বাতিলের আশঙ্কাও থাকছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement