ফাইল চিত্র।
করোনার ভয়কে তুচ্ছ করে বিদেশে আটকে পড়া ভারতীয়দের ফিরিয়েছিলেন তাঁরা। সে জন্য সরকার শংসাপত্রও দিয়েছিল। সেই পাইলট ও বিমানসেবিকাদেরই বেতন ছাঁটার পথে এয়ার ইন্ডিয়া (এআই)। পাইলটদের হুমকি, সংস্থা এই প্রস্তাব না-ফেরালে সরকারকে শংসাপত্র ফেরাবেন তাঁরা।
সম্প্রতি সংস্থার সিএমডি রাজীব বনসলকে লেখা চিঠিতে তাঁদের প্রশ্ন, ডিরেক্টরদের ৩%-৪% বেতন কমছে, পাইলটদের ৬০% কেন? অভিযোগ, এপ্রিল থেকে ৭০% বেতন বাকি। পাইলটদের দাবি, গত ক’মাসে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে ৫৫ জন করোনায় আক্রান্ত। অথচ সংস্থা বলছে, কাজে না-এলে ভাতা মিলবে না। তাঁদের তোপ, এ অন্যায়! বিমানমন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরীর সঙ্গে কথা চান তাঁরা।
এআইয়ে বেতনহীন ছুটির প্রকল্প নিয়েও অভিযোগ উঠছে। সুর চড়াচ্ছেন বিরোধীরা। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ওব্রায়েনের কটাক্ষ, ‘‘সংস্থা বেচতে চায় কেন্দ্র। কর্মী ছেঁটে ক্রেতাকে সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এটা ‘ম্যাচ ফিক্সিং’।’’ পুরীর পাল্টা, ‘‘এ সব ক্রিকেটীয় ভাষা মাঠে ভাল। সংস্থা বাঁচাতে খরচ কমানোর অঙ্গ এটা।’’
এমডি-কে চিঠিতে বিমানসেবক ও সেবিকাদের সংগঠন বলছে, কাজের মান, কর্মক্ষমতা, শারীরিক অবস্থার ভিত্তিতে কাদের বেতনহীন ছুটিতে পাঠানো হবে, তা ঠিক করবেন আঞ্চলিক প্রধানেরা। এতে সেই কর্তার ঘনিষ্ঠদের সুবিধা হবে। দক্ষ হলেও কর্তার চক্ষুশূলেরা সমস্যায় পড়বেন। তাঁদের অভিযোগ, যাঁরা বন্দে ভারত উড়ানের প্রশংসা কুড়োলেন, তাঁদেরই এ ভাবে ছাঁটা হচ্ছে। ৬ মাস, ২ বা ৫ বছর ছুটিতে থাকলে কাজে ফেরা যায়?