মাঝে মাত্র দু’মাসের বিরতি। এবং ফের জল্পনা ওলা-উব্রের জোট নিয়ে। সংশ্লিষ্ট মহল বলছে, দু’টি সংস্থারই লগ্নিকারী জাপানের সফটব্যাঙ্ক সংযুক্তির পক্ষে সওয়াল করেছে। যে কারণে ওলা বা উব্র ওই জল্পনার কথা বুধবার ওড়ালেও গুঞ্জন কিন্তু থামছে না।
বছরের গোড়ায় এই জল্পনায় ইন্ধন দেন, দুই সংস্থায় বৃহত্তম লগ্নিকারী জাপানি বিনিয়োগকারী সফটব্যাঙ্কের পরিচালন পর্ষদের সদস্য রাজীব মিশ্র। তাতে তখন জল ঢালে উভয় সংস্থা। সবেমাত্র দক্ষিণ এশিয়ায় তাদের ব্যবসা প্রতিদ্বন্দ্বী সংস্থা গ্র্যাব-কে বিক্রি করার পরেও অবশ্য উব্র বলেছে, আমেরিকার মতোই ভারতের বাজারও তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
তার ক’দিনের মধ্যেই আবার সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, সফটব্যাঙ্ক এই গাঁটছড়ায় আগ্রহী। উল্লেখ্য, চিনের ব্যাবসাও প্রতিদ্বন্দ্বী দিদি চুয়াক্সিন-কে বিক্রি করেছে উব্র। উব্র, ওলা গ্র্যাবের পাশাপাশি দিদি-তেও বৃহত্তম লগ্নিকারী হল সফটব্যাঙ্ক।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি, গত কয়েক মাস ধরে ওলা-উব্রের কর্তারা বৈঠক করছেন। সর্বশেষটি বৈঠকটি হয়েছে ফেব্রুয়ারিতে উব্রের সিইও দারা খোশরোশাহি ভারতে আসার কিছু দিন আগেই।
এ সব শুনে অনেকেই তাই দুই আর দুই চার করে গাঁটছড়ার অঙ্ক মেলানোর কথা ভাবছেন। ওলার সঙ্গে মিশলে বিশ্বের চারটি বাজার থেকে সরবে উব্র। রাশিয়া থেকেও ব্যবসা গুটিয়েছে তারা।
কী বলছে দুই সংস্থা? আগামী দিনেও তাদের আলাদা অ্যাপ থেকেই ট্যাক্সি বুক করতে হবে নাকি, একটি থেকেই করা যাবে? কার্যত জল্পনা ওড়ালেও স্পষ্ট কোনও জবাব মেলেনি। ওলার মুখপাত্র জানিয়েছেন, ভারতে ডিজিটাল প্রযুক্তির পরিষেবায় গুরুত্বপূর্ণ অংশিদার হতে চান তাঁরা। সফটব্যাঙ্ক ও অন্য লগ্নিকারীরাও তা পূরণ করতে দায়বদ্ধ। ওলা সব সময়েই নতুন সুযোগ ও ব্যবসা বাড়াতে আগ্রহী।
আর উব্র কর্তা দারা বলেন, ‘‘গ্র্যাবের চুক্তির ফলে আমরা আমাদের মূল (কোর) বাজারগুলিতে লগ্নি দ্বিগুণ করতে পারব। এবং ভারত আমাদের কাছে অন্যতম মূল বাজার। তবে আমাদের সহযোগী ও শেয়ারহোল্ডারদের লাভ হয় এমন যে কোনও সুযোগ খতিয়ে দেখব। কিন্তু ভারতে আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমরা বিশ্বাসী।
সংশ্লিষ্ট মহলের কিন্তু খবর, সফটব্যাঙ্ক ওলা-র হাতেই রাশ রাখতে আগ্রহী। তাহলে কি সংযুক্ত সংস্থার নিয়ন্ত্রণ কার হাতে থাকবে, সেটাই এখন আলোচনার মূল কাঁটা? এ দিন অন্তত জবাব অবশ্য মেলেনি।