প্রতীকী ছবি
আগামী ১ এপ্রিল থেকেই সরকারি ভাবে মিশে যাচ্ছে পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক (পিএনবি), ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া (ইউবিআই) এবং ওরিয়েন্টাল ব্যাঙ্ক অব কমার্স (ওবিসি)। তখন সব রকমের ঋণ ও জমার ক্ষেত্রে তিন ব্যাঙ্কের আলাদা আলাদা সুদের হার আর থাকবে না। অর্থাৎ গৃহঋণ, গাড়িঋণ, স্থায়ী জমা-সহ নানা ক্ষেত্রে বিভিন্ন মেয়াদে সুদের একটি করে হার ধার্য হবে। ঢেলে সাজানো হবে বিভিন্ন পরিষেবায় তিন ব্যাঙ্কের নানা রকম প্রকল্পগুলিও। বুধবার এ কথা জানিয়ে ইউনাইটেড ব্যাঙ্কের এগ্জিকিউটিভ ডিরেক্টর সঞ্জয় কুমারের দাবি, এপ্রিল থেকে সংযুক্ত ব্যাঙ্কে ঋণ ও আমানতে ধার্য নতুন ওই সুদ কার্যকর হবে নতুন গ্রাহকদের ক্ষেত্রে। পুরনো গ্রাহকদের জন্য আগের সুদ-সহ সব শর্তই বহাল থাকবে। তবে তাঁদের সামনে নতুন সুদে চলে আসার পথ খোলা রাখা হবে।
অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার লক্ষ্যে সম্প্রতি ১০টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক-কে মিশিয়ে চারটি শক্তিশালী ব্যাঙ্ক করার কথা ঘোষণা করেছে অর্থমন্ত্রী। তারই অঙ্গ পিএনবি, ইউবিআই এবং ওবিসি-র সংযুক্তি। যা কার্যকর হচ্ছে আগামী অর্থবর্ষের প্রথম দিনেই। তবে কুমারের দাবি, সংযুক্তি কার্যকর হলেও তিনটি ব্যাঙ্কের সমস্ত কাজকর্ম পুরোপুরি মিশে যেতে সময় লাগবে আরও প্রায় এক বছর। কারণ, গ্রাহকদের সুবিধার জন্য পুরো বিষয়টাই ধাপে ধাপে এগোবে।
এর আগে ব্যাঙ্ক অব বরোদা, বিজয়া ব্যাঙ্ক এবং দেনা ব্যাঙ্ক সংযুক্ত হয়েছে। এ দিন সঞ্জয় বলেন, ‘‘সংযুক্তিকরণ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার ক্ষেত্রে ওই তিন ব্যাঙ্ক-কে যে সব সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে, তার থেকে শিক্ষা নিয়েছি। লক্ষ্য একটাই, তিনটি ব্যাঙ্কের একটিতেও গ্রাহক স্বার্থে যেন আঘাত না লাগে।’’ ব্যাঙ্ক পরিচালনার নীতি হোক বা কোর ব্যাঙ্কিং অথবা ঋণ-আমানত প্রকল্প, তিনটি ব্যাঙ্কের মধ্যে যেটিতে যার ব্যবস্থা সব থেকে ভাল, সেটাই সংযুক্ত ব্যাঙ্কে কার্যকর হবে বলেও জানান তিনি। তবে যত দিন একই তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থা চালু না হচ্ছে, তত দিন নিজেদের কোর ব্যাঙ্কিংয়েই কাজ চলবে। চালু থাকবে তিনটি সার্ভার। তাদের মধ্যে সমন্বয় রাখতে আনা হবে একটি অন্তবর্তী সার্ভার, জানান সঞ্জয়।