ফাইল চিত্র।
প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতী এয়ারটেল ও ভোডাফোন-আইডিয়ার পথেই হাঁটতে হল জিয়োকে। সোমবারই কল চার্জ বাড়ানোর কথা ঘোষণা করে এয়ারটেল ও ভোডাভোন।মঙ্গলবার জিয়ো-ও ঘোষণা করে দিল, পয়লা ডিসেম্বর থেকে কল চার্জ বাড়াচ্ছে তারাও।
দেশের টেলিকম সেক্টর আর্থিক সঙ্কটে ভুগছে। তারা লোকসান করছে বলে বার বার দাবি করে এসেছে এয়ারটেল ও ভোডাফোন। কিন্তু জিয়োর দাবি ছিল উল্টো, পরিস্থিতি যথেষ্ট ভাল।
বছরখানেক আগে স্পেকট্রাম কেনার জন্য প্রচুর টাকা খরচ করতে হয় টেলিকম সংস্থাগুলিকে। তার জেরে ব্যাঙ্ক থেকেঋণও করতে হয় তাদের। সেই টাকা তার তুলতে পারছিল না বলে দাবি করে এয়ারটেল, ভোডাভোন। এমনকি সেই ঋণের ভার থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কেন্দ্রের সাহায্যও চায় তারা। কিন্তু জিয়ো অবেদন করে, সেই টাকা যেন মুকুব না করা হয়।
আরও পড়ুন: টোম্যাটোর গয়না পরে বিয়ের সাজে পাকিস্তানি যুবতী!
২০১৬ সালে টেলিকম বাজারে জিয়ো পা রাখে। বদলে যায় ভারতের টেলিকম বাজারের ছবিটাই। প্রথমে কয়েক মাস বিনামূল্যে কল ও ডেটা পরিষেবা দিয়ে বাজার ধরে জিয়ো। পরে অবশ্য ডেটার জন্য টাকা নিলেও কলের জন্য তারা কোনও টাকা নেবে না বলে জানায়। একই পথে হেঁটে অন্য টেলিকম সংস্থাগুলিও মাসুল কমায়। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে তাদেরও জিয়োর মতো সস্তার ট্যারিফ আনতে হয়। ফলেলোকসান আরও বাড়ে বলে জানায় সংস্থাগুলি।
আরও পড়ুন: মেয়েদেরই কেন এটা বার বার শুনতে হয়! প্রশ্ন রায়বরেলীর বিধায়কের
এই পরিস্থিতিতে মাসুল বাড়ানো নিয়ে দীর্ঘদিন ভাবনা চিন্তা করছিল এয়ারটেল, ভোডাফোনের মতো সংস্থাগুলি। কিন্তু জিয়োর মুখে সে কথা কখনও শোনা যায়নি। তবে সম্প্রতি জিয়ো থেকে অন্য সার্ভিস প্রোভাইডারের নম্বরে ফোন করতে গেলে মিনিটে ছ’ পয়সা করে কাটা যাচ্ছিল। জিয়োর দাবি, এটি কল সংযোগ বাবদ ধার্য ইন্টারকানেক্ট ইউসেজ চার্জ (আইইউসি)।
শেষ পর্যন্ত কল চার্জ বাড়ানোর কথা ঘোষণাই করে দেয় এয়ারটেল, ভোডাফোন। দুই সংস্থার তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় পয়লা ডিসেম্বর থেকেই বাড়তে চলেছে মাসুল। পরের দিনই জিয়ো জানিয়ে দিল, তারাও মাসুল বাড়াচ্ছে। তবে নতুন ট্যারিফ কী হবে তা এখনই ঘোষণা করা হয়নি। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে নতুন ট্যারিফ কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে জিয়োর তরফে।