প্রতীকী ছবি।
গত কয়েক দিনের পতনে ৮০ টাকা পেরিয়েছে ডলারের দাম। সপ্তাহের মাঝে এক সময়ে ডলারের দাম পৌঁছেছিল ৮০.০৬ টাকায়। যার জেরে চিন্তা বাড়ছে অর্থনীতি ঘিরে। বিশেষত, টাকার দাম পড়ায় অশোধিত তেলের মতো পণ্যের আমদানি খরচ বাড়বে। চওড়া হবে বাণিজ্য এবং চলতি খাতে ঘাটতি। সমস্যা হবে রাজকোষ ঘাটতিকে লক্ষ্যে বেঁধে রাখায়। এই অবস্থায় উপদেষ্টা সংস্থাগুলির একাংশ মনে করছে, এখানেই শেষ নয়। আরও নামতে পারে টাকার দর। সে ক্ষেত্রে ডলার পৌঁছতে পারে ৮১-৮২ টাকায়।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকেই বিশ্ব জুড়ে চড়ছে মূল্যবৃদ্ধির হার। যা সামাল দিতে ভারত, আমেরিকা-সহ বিভিন্ন দেশে সুদের হার বাড়িয়েছে শীর্ষ ব্যাঙ্কগুলি। এর মধ্যে ২৬-২৭ জুলাই আমেরিকায় ফেডারাল রিজ়ার্ভ সুদ আরও বাড়ালে টাকার দাম ঘিরে পরিস্থিতি জটিল হতে পারে বলে ধারণা। ইন্ডিয়া রেটিংস অ্যান্ড রিসার্চের মুখ্য অর্থনীতিবিদ সুনীল কুমার সিন্হার মতে, ‘‘এখন যা অবস্থা, তাতে সারা বছরের গড় হিসাবে ডলার মোটামুটি থিতু হতে পারে ৭৯ টাকায়। তবে এই মুহূর্তে তা ৮১ টাকাও পেরিয়ে যেতে পারে।’’
একই কথা জানিয়েছেন আর এক মূল্যায়ন সংস্থা ইক্রার মুখ্য অর্থনীতিবিদ অদিতি নায়ারও। তিনি বলেন, ‘‘এ বছরে বিশ্বের অবস্থা এবং ভারতের শেয়ার বাজারে বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলির বিনিয়োগই ঠিক করবে টাকার গতি। উল্টো দিকে ডলারের দৌড়ের বিষয়টি ক্ষেত্রে নির্ভর করবে আমেরিকার অর্থনীতি ফের মন্দার কবলে পড়ে কি না, তার উপরে।’’ নোমুরারও মতে, এই অবস্থা চলতে থাকলে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ডলার ছাড়াতে পারে ৮২ টাকা গণ্ডিও। তবে এই অর্থবর্ষের শেষের দিকে টাকার উপর থেকে চাপ কিছুটা কমতে পারে বলে মনে করছে ক্রিসিল।