গৌতম আদানি। —ফাইল চিত্র।
ঘাড়ে বিপুল ধারের বোঝা শাপুরজি পালোনজি (এসপি) গোষ্ঠীর। সেই ভার কমাতে এ বার ওড়িশার গোপালপুর বন্দর আদানি গোষ্ঠীর হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল তারা।
মঙ্গলবার আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশ্যাল ইকনমিক জ়োন জানিয়েছে, শাপুরজি এবং ওড়িশা স্টেভেডোরস-এর (ওএসএল) কাছ থেকে বন্দরটির ৯৫% অংশীদারি কিনে নেওয়া হচ্ছে। শেয়ার মূল্য ১৩৪৯ কোটি টাকা। সংস্থার মূল্য (এন্টারপ্রাইজ় ভ্যালু) ৩০৮০ কোটি টাকা। অনিশ্চয়তা খাতে আরও ২৭০ কোটি টাকা ধরা হয়েছে, যা ৫ বছর ৫ মাস পরে মেটাতে হবে অংশীদারি বিক্রেতা নির্দিষ্ট কিছু শর্ত পূরণ না করলে। সংস্থার সার্বিক মূল্য স্থির হয়েছে ৩৩৫০ কোটি টাকা।
শাপুরজিরা জানিয়েছে, সম্পত্তি বিক্রি করে তহবিল জোগাড়ের কৌশল হিসেবেই গোপালপুর বন্দর বিক্রির এই পরিকল্পনা। কয়েক মাস আগে তারা মহারাষ্ট্রের ধরমতার বন্দরটিও বিক্রি করেছে। ৭১০ কোটি টাকায় সেটি কিনেছে জেএসডব্লিউ ইনফ্রাস্ট্রাকচার। এ দিন এসপি গোষ্ঠীর মুখপাত্র জানান, বন্দর বিক্রির সিদ্ধান্ত শাপুরজিদের ঋণ কমাতে এবং বৃদ্ধির পথে হাঁটার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। প্রায় ২০,০০০ কোটি টাকার ধার রয়েছে তাদের ঘাড়ে। নানা উপায় সেই অঙ্ক কমিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়েছে তারা।
গোপালপুর বন্দরে এসপি গোষ্ঠীভুক্ত এসপি পোর্ট মেনটেনেন্স-এর অংশীদারি ছিল ৫৬% এবং ওএসএল-এর ৪৪%। এটি গঞ্জাম জেলায় অবস্থিত গভীর সমুদ্র বন্দর, যার ধারণ ক্ষমতা বছরে প্রায় ২ কোটি টন। সেখানে শাপুরজিদের পুরোটা এবং ওএসএলের ৩৯% অধিগ্রহণ করতে চুক্তি করেছে আদানিরা। ৫% অংশীদারি নিয়ে যৌথ উদ্যোগের সহযোগী থাকবে ওএসএল।